মহামারি করোনাভাইরাসে সারাবিশ্বে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখে। এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৪ লাখ ৯০ হাজার ৯৫৮ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১৬ লাখ ৯০ হাজার ৬৬৯ জন।
ইতালিতে ৩১ হাজার মানুষের মৃত্যু
ইতালিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা কমছে। শিথিল করা হয়েছে লকডাউন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৯২ জন কোভিড-১৯ রোগী এবং মারা গেছেন ২৬২ জন। দেশটিতে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩১ হাজার ৩৬৮ জন। মোট আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ২৩ হাজার ৯৬ জন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৬ হাজার ৫৮৭ জন করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৬ হাজার
করোনায় বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৮৬ হাজার ৪০ জন করোনা আক্রান্ত রোগী মারা গেছেন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ লাখ ৪১ হাজার ৫৫ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩ লাখ ১১ হাজার ৭২১ জন। দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ১০ হাজার ৭০৭৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
স্পেনে ২৭ হাজার মানুষের মৃত্যু
স্পেনে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৭২ হাজার ৬৪৬ জন। দেশটিতে ২৭ হাজার ৩২১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। আর ১ লাখ ৮৬ হাজার ৪৮০ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। ইতোমধ্যে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা কমে এসেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ২১৭ জন আক্রান্ত রোগী মারা গেছেন।
যুক্তরাজ্যে ৩৩ হাজার মানুষের মৃত্যু
যুক্তরাজ্য করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৩৩ হাজার ৬১৪ জন মারা গেছেন। দেশটিতে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৩৩ হাজার ১৫১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩ হাজার ৪৪৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৪২৮ জন মারা গেছেন।
জার্মানিতে ৭ হাজার মানুষের মৃত্যু
জার্মানিতে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৭৪ হাজার ৪৭৮ জন। এর মধ্যে ৭ হাজার ৮৮৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটিতে সুস্থতার হার অনেক বেশি। এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৫০ হাজার ৩০০ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে ৩৮০ জন আক্রান্ত হয়েছে। লকডাউন শিথিলের পর সংক্রমণ বেড়েছে জার্মানিতে। নতুন করে ২৩ জন মারা গেছেন দেশটিতে।
ফ্রান্সে ২৭ হাজার মানুষের মৃত্যু
ফ্রান্সে এখন পর্যন্ত ২৭ হাজার ৪২৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। দেশটিতে মোট ৫৯ হাজার ৬০৫ জন মানুষ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কেউ আক্রান্ত হয় নি। তবে নতুন করে ৩৫১ জন মারা গেছেন।
এছাড়া করোনার কেন্দ্রস্থল চীনে ৪ হাজার ৬৩৩ জন, ইরানে ৬ হাজার ৮৫৪ জন, ব্রাজিলে ১৩ হাজার ৫৫৫ জন, কানাডায় ৫ হাজার ৪৬৮ জন, রাশিয়ায় ২ হাজার ৩০৫ জন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
চীনের উহান শহরে গত বছর ডিসেম্বর থেকে দেখা যাওয়া এই নতুন ভাইরাস মূলত ফুসফুসে বড় ধরনের সংক্রমণ ঘটায়। জ্বর, কাশি, শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যাই মূলত প্রধান লক্ষ্মণ। নতুন ভাইরাসটির জেনেটিক কোড বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে এটি অনেকটাই সার্স ভাইরাসের মতো। এখনও পর্যন্ত এ ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি।