করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে অ্যান্টিবডি আবিষ্কার করেছে ক্যালিফোর্নিয়া ভিত্তিক একটি বায়োটেক সংস্থা। তারা দাবি করেছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের বিরুদ্ধে শতভাগ কাজ করতে সক্ষম এ অ্যান্টিবডি।
শুক্রবার (১৫ মে) ফক্স নিউজ জানিয়েছে, ক্যালিফোর্নিয়ার এই বায়োটেক সংস্থার বিজ্ঞানীরা এমন অ্যান্টিবডির সন্ধান পেয়েছেন যা করোনভাইরাসের বিস্তার সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতে সক্ষম। অর্থাৎ এই অ্যান্টিবডি দিয়ে করোনা ‘নিরাময়’ সম্ভব।
সোররেন্টোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হেনরি জি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আমরা দ্রুত কোরানা প্রতিকারের ওপর জোর দিতে চাই। এই অ্যান্টিবডি করোনা প্রতিকারে ১০০ শতাংশ কাজ করে। আপনার শরীরে যদি নিরপেক্ষ অ্যান্টিবডি থাকে তবে আপনার সামাজিক দূরত্বের দরকার নেই। আপনি নির্ভয়ে লকডাউন খুলে দিয়ে সবার চলাচল উন্মুক্ত করতে পারেন।
ক্যালিফোর্নিয়ার সান দিয়াগোতে অবস্থিত সোরেন্টো থেরাপিউটিক্স জানিয়েছে, এসটিআই-১৪৯৯ অ্যান্টিবডি সুস্থ মানব কোষে করোনাভাইরাসকে প্রবেশে বাধা দিয়েছে। গবেষণাগারের পেট্রি ডিস (ল্যাবে ব্যবহৃত চেপ্টা আকৃতির স্বচ্ছ থালা) পরীক্ষায় এ ফল দেখা গেছে।
নিউইয়র্কের এমটি সিনাই স্কুল অফ মেডিসিনের সহযোগিতায় ক্যালিফোর্নিয়া ভিত্তিক বায়োটেক সংস্থা সোরেন্টো এই অ্যান্টিবডি আবিষ্কার করেছে। করোনার ওষুধের ককটেলের জন্য বেশ কয়েকটি অ্যান্টিবডি নিয়ে কাজ করছিল তারা। এটি তার মধ্যেই একটি অ্যান্টিবডি যা কার্যকর হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।
ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) থেকে জরুরি অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছে। তবে এখনও তারা সবুজ সংকেত পাননি।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সোরেন্টো জানিয়েছে, এক মাসে ২০ লাখ ডোজ পর্যন্ত অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সক্ষম। করোনার ভ্যাকসিনের আশা করার চেয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ওষুধ উৎপাদনের বিষয়ে বিবেচনা করা প্রয়োজন।
যা হোক, এখানে বিষয় হলো ভাইরাসটি ল্যাবের পরীক্ষায় মানুষের কোষে ব্যবহারে উল্লেখযোগ্য ফলাফল দিয়েছে। কিন্তু মানুষের শরীরেও কী এই অ্যান্টিবডি কার্যকর ফলাফল দেখাবে কি না সেটা তারা নিশ্চিত নন। এখন পর্যন্ত মানুষের শরীরে এই অ্যান্টিবডির পরীক্ষা করা হয়নি। সুতরাং মানুষের দেহে এটি কীভাবে কাজ করবে তা এখনও আমাদের অজানা।