মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। এখন পর্যন্ত বিশ্বে ৫০ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ২৮ হাজারে। ইতোমধ্যে আক্রান্ত ১৮ লাখ ৯৯ হাজার মানুষ সুস্থ হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২১ মে) জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির করোনাভাইরাস রিসোর্স সেন্টার এ তথ্য জানায়।
ইতালিতে ২ লাখ মানুষ আক্রান্ত
দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ২৭ হাজার ৩৬৪ জন কোভিড-১৯ রোগী এবং মারা গেছেন ৩২ হাজার ৩৩০ জন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৩২ হাজার ২৮২ জন করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। ইতোমধ্যে দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা কমছে। শিথিল করা হয়েছে লকডাউন।
যুক্তরাষ্ট্রে ১৫ লাখ মানুষ আক্রান্ত
করোনায় বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৯৩ হাজার ৪৩৯ জন করোনা আক্রান্ত রোগী মারা গেছেন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ লাখ ৫১ হাজার ৮৫৩ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ লাখ ৯৪ হাজার ৩১২ জন।
স্পেনে ২ লাখ মানুষ আক্রান্ত
স্পেনে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৩২ হাজার ৫৫৫ জন। দেশটিতে ২৭ হাজার ৮৮৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। আর ১ লাখ ৫০ হাজার ৩৭৬ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। ইতোমধ্যে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা কমে এসেছে।
যুক্তরাজ্যে প্রায় দেড় লাখ মানুষ আক্রান্ত
যুক্তরাজ্য করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৩৫ হাজার ৭৮৬ জন মারা গেছেন। দেশটিতে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৪৯ হাজার ৬১৯ জন। সুস্থ হয়েছে ১ হাজার ১১৬ জন।
জার্মানিতে দেড় লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত
জার্মানিতে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৭৮ হাজার ৪৭৩ জন। এর মধ্যে ৮ হাজার ১৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটিতে সুস্থতার হার অনেক বেশি। এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৫৬ হাজার ৯৬৬ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
ফ্রান্সে ১ লাখ ৮০ হাজার মানুষ আক্রান্ত
ফ্রান্সে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৮১ হাজার ৭০০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ২৮ হাজার ১৩৫ জন। দেশটিতে মোট ৬৩ হাজার ৮৭২ জন মানুষ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
করোনাভাইরাস এখন দরিদ্র দেশগুলোতে বিস্তার লাভ করছে। ইতোমধ্যে রাশিয়া আক্রান্তের হিসেবে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে ৩ লাখ ৮ হাজার ৭০৫ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। একইসঙ্গে ব্রজিলে একদিনে ২০ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ২ লাখ ৯১ হাজার ৫৮৯ জন।
করোনার কেন্দ্রস্থল চীনে ৮৪ হাজার ৬৩ জন, ইরানে ১ লাখ ২৬ হাজার ৯৫৯, কানাডায় ৮১ হাজার ৫৭৫ জন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
চীনের উহান শহরে গত বছর ডিসেম্বর থেকে দেখা যাওয়া এই নতুন ভাইরাস মূলত ফুসফুসে বড় ধরনের সংক্রমণ ঘটায়। জ্বর, কাশি, শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যাই মূলত প্রধান লক্ষ্মণ। নতুন ভাইরাসটির জেনেটিক কোড বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে এটি অনেকটাই সার্স ভাইরাসের মতো। এখনও পর্যন্ত এ ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি।