করোনা চিকিৎসায় নতুন ৫ ওষুধের ট্রায়ালে যুক্তরাজ্য

বিবিধ, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2023-09-01 14:45:21

করোনা চিকিৎসায় নতুন ৫টি ওষুধের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য।

সোমবার (১ জুন) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানায়, যুক্তরাজ্যের ৭০টি হাসপাতালে নতুন ৫টি ওষুধের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।

এর মধ্যে হেপারিন নামে একটি ওষুধ আছে যা রক্ত জমাট বাধা বন্ধে কাজ করে। এছাড়াও পেশি, ফুসফুস ও রক্ত সম্পর্কিত ব্যাধি সারাতে কার্যকরী এমন থেরাপিও এ ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের আওতায় আছে। মূলত যেসব ওষুধ শক্তিশালী অ্যান্টি-ভাইরাল বা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য আছে সেগুলো নিয়েই ট্রায়াল চলছে।

যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (এনআইএইচআর) শ্বাসকষ্টের ওষুধ সম্পর্কিত অধ্যাপক ও পরামর্শক টম উইলকিনসন বলেন, আমরা সুরক্ষা এবং কার্যকারিতা উভয়ই নিয়ে ভাবছি। এমন কিছু যা রোগের তীব্রতা হ্রাস করতে পারে। যাতে অল্প সময়ে রোগীরা সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন পাশাপাশি আইসিইউতে না যেতে হয়।

তিনি আরও বলেন, মাত্র কয়েকজন রোগী এখন পর্যন্ত এই পরীক্ষার জন্য নাম লিখিয়েছেন। একইসঙ্গে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। কিন্ত আমাদের একটা স্থায়ী সমাধানে আসা প্রয়োজন। এজন্য যত দ্রুত সম্ভব বেশি সংখ্যক রোগীকে এ ট্রায়ালের আওতাভুক্ত করা প্রয়োজন।

ট্রায়ালে থাকা ড্রাগ ৫টি হলো:

হেপারিন: যা রক্ত পাতলা করতে হাসপাতালে চিকিৎসায় রোগীদের ওপর ব্যবহৃত হয়। গভীর শিরার মধ্যে রক্ত জমাট বাঁধা, পালমোনারি এম্বোলিজ্ম‌, অস্থায়ীভাবে কণ্ঠনালীপ্রদাহ ইত্যাদির জন্য ব্যবহার করা হয়।

বেমসেনটিনিব: নরওয়ের ওষুধ কোম্পানি বারজিবায়ো দ্বারা নির্মিত একটি ট্যাবলেট। যা রক্তের ব্যাধিগুলোর জন্য ব্যবহার করা হয়। ইবোলা, সার্স করোনাভাইরাস সহ বেশ কয়েকটি ভাইরাস সম্পর্কিত পরীক্ষা-নিরীক্ষায় সংক্রমণ কমাতে একটি শক্তিশালী অ্যান্টিভাইরাল হিসেবে প্রভাব দেখাতে সক্ষম হয়েছে এ ওষুধ।

মেডি৩৫০৬: ত্বকের ব্যাধি এবং দীর্ঘস্থায়ী পালমোনারি রোগের জন্য একটি অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ইনজেকশন তৈরি করা হচ্ছে। এটি অ্যাস্ট্রাজেনেকা দ্বারা হাঁপানির জন্য পরীক্ষায় ব্যবহৃত হয়েছে।

জিলুকোপ্লান: বেলজিয়ামের বায়োফর্মা সংস্থা ইউসিবি দ্বারা তৈরি একটি ড্রাগ। যা ইতিমধ্যে মাইস্থেনিয়া গ্রাভিস, একটি কঙ্কাল-পেশিজনিত ব্যাধি নিয়ে সম্ভাব্য চিকিৎসার জন্য বিচারের মধ্যে রয়েছে।

ক্যালকেন্স: অ্যাস্ট্রাজেনিকার আরেকটি ড্রাগ এটি। ম্যান্টেল সেল লিম্ফোমার চিকিত্সার জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল। এটি ব্রুটনের টাইরোসিন কিনেস (বিআরকে) নামে পরিচিত। এনজাইমের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে যা ফুসফুসের তীব্র প্রদাহের জন্য তৈরি হয়েছিল। কোভিড সংক্রমণ বা ফুসফুসের গুরুতর আঘাত হ্রাসের বিবেচনায় এ ওষুধ ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর