মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। এখন পর্যন্ত বিশ্বে ৬৯ লাখ ১৩ হাজার ৬০৮ জন মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ১২১ জনে। ইতোমধ্যে আক্রান্ত ৩০ লাখ ৯৫ হাজার ৩৪৮ জন মানুষ সুস্থ হয়েছেন।
রোববার (৭ জুন) জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির করোনাভাইরাস রিসোর্স সেন্টার এ তথ্য জানায়।
করোনাভাইরাস এখন দরিদ্র দেশগুলোতে বিস্তার লাভ করছে। ইতোমধ্যে ব্রাজিল আক্রান্তের হিসেবে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে ৬ লাখ ৭২ হাজার ৮৪৬ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং ৩৫ হাজার ৯৩০ জন মারা গেছেন। একইসঙ্গে রাশিয়ায় বাড়তে শুরু করেছে আক্রান্তের সংখ্যা। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ৪ লাখ ৬৭ হাজার ৭৩ জন এবং ৫ হাজার ৮৫১ জন মারা গেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে এক লাখ মানুষের মৃত্যু
করোনায় বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৯ হাজার ৮০২ জন করোনা আক্রান্ত রোগী মারা গেছেন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ লাখ ২০ হাজার ৬১ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫ লাখ ৮৪৯ জন।
যুক্তরাজ্যে ৪০ হাজার মানুষের মৃত্যু
যুক্তরাজ্য করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৪০ হাজার ৫৪৮ জন মারা গেছেন। দেশটিতে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৮৬ হাজার ২৯৪ জন। সুস্থ হয়েছে ১ হাজার ২৩০ জন।
ইতালিতে ৩৩ হাজার মানুষের মৃত্যু
দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৩৪ হাজার ৮০১ জন কোভিড-১৯ রোগী এবং মারা গেছেন ৩৩ হাজার ৮৪৬ জন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৬৫ হাজার ১৭৮ জন করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। ইতোমধ্যে দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা কমছে। শিথিল করা হয়েছে লকডাউন। পর্যটকদের জন্য সীমান্ত খুলে দেওয়া হয়েছে।
ফ্রান্সে ২৯ হাজার মানুষের মৃত্যু
ফ্রান্সে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৯০ হাজার ৭৫৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ২৯ হাজার ১৮৯ জন। দেশটিতে মোট ৭০ হাজার ৯২৪ জন মানুষ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
স্পেনে ২৭ হাজার মানুষের মৃত্যু
স্পেনে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৪১ হাজার ৩১০ জন। দেশটিতে ২৭ হাজার ১৩৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। আর ১ লাখ ৫০ হাজার ৩৭৬ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। ইতোমধ্যে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা কমে এসেছে।
জার্মানিতে ৮ হাজার মানুষের মৃত্যু
জার্মানিতে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৮৫ হাজার ৬৯৬ জন। এর মধ্যে ৮ হাজার ৬৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটিতে সুস্থতার হার অনেক বেশি। এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৬৯ হাজার ১৫৮ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
করোনার কেন্দ্রস্থল চীনে ৮৪ হাজার ১৮৬ জন আক্রান্ত এবং ৪ হাজার ৬৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, ইরানে ১ লাখ ৬৯ হাজার ৪২৫ জন আক্রান্ত এবং ৮ হাজার ২০৯ জনের মৃত্যু, কানাডায় ৯৬ হাজার ৪৭৫ জন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং ৭ হাজার ৮৫০ জন মারা গেছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর তালিকায় ইতোমধ্যে উঠে এসেছে ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের নাম। এশিয়ার স্বল্পউন্নত এসব দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ২ লাখ ৪৭ হাজার ১৫৫ জন এবং ৬ হাজার ৯৫০ জন মারা গেছে। পাকিস্তানে ৯৮ হাজার ৯৪৩ জন আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ২ হাজার ২ জন। বাংলাদেশে আক্রান্ত হয়েছে ৬৫ হাজার ৭৬৯ জন এবং মারা ৮৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
চীনের উহান শহরে গত বছর ডিসেম্বর থেকে দেখা যাওয়া এই নতুন ভাইরাস মূলত ফুসফুসে বড় ধরনের সংক্রমণ ঘটায়। জ্বর, কাশি, শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যাই মূলত প্রধান লক্ষ্মণ। নতুন ভাইরাসটির জেনেটিক কোড বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে এটি অনেকটাই সার্স ভাইরাসের মতো। এখনও পর্যন্ত এ ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি।