মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক ম্যাসাচুসেটস বায়োটেকনোলজি সংস্থার (মর্ডানা) তৈরি ভ্যাকসিন ইঁদুরে প্রয়োগে কার্যকর ফল পাওয়া গেছে। সম্প্রতি ইঁদুরের ওপর এ ভ্যাকসিন প্রয়োগে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (১২ জুন) প্রকাশিত প্রাথমিক তথ্য অনুসারে জানা যায়, ভ্যাকসিনের একটি ডোজেই ইঁদুরের শরীরে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে সক্ষমতা অর্জন করতে পেরেছে।
ভ্যাকসিনটি আসলে মানব দেহে কাজ করে কিনা তা দেখার লক্ষে জুলাইয়ে বৃহৎ ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরু করার পরিকল্পনা করছিল মর্ডানা। এরই ধারাবাহিকতায় ১১ জুন মর্ডানা জানায়, আগামী জুলাই মাসে ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে এ ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হবে। এর পরই মর্ডানা একটি চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করবে বলে জানা গেছে।
জানুয়ারিতে কোভিড-১৯ এর জেনেটিক সিকোয়েন্স প্রকাশের ঠিক আট সপ্তাহের মাথায় মর্ডানার এমআরএনএ-১২৭৩ ভ্যাকসিনের প্রথম ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করে। ১৮ মে প্রাথমিক পর্যায়ের ট্রায়ালে ৪৫ জন স্বেচ্ছাসেবকে এ ভ্যাকসিন প্রয়োগ করে। প্রথম পর্যায়ের এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের শরীরে ভ্যাকসিনর দু’টি ডোজ দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে আটজনের দেহে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করে মডার্না জানিয়েছে, প্রাথমিক ফল ইতিবাচক।
যাদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে, তাদের স্যাম্পল ল্যাবে পরীক্ষা করে দেখা গেছে, তা ভাইরাসের বংশবিস্তার ঠেকিয়ে দিতে সক্ষম। প্রত্যেকের শরীরেই করোনাভাইরাসের ‘নিউট্রালাইজিং অ্যান্টিবডি’ এমন মাত্রায় তৈরি হয়েছে, যা এ ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হওয়া ব্যক্তিদের দেহে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডির সমান বা তার চেয়ে বেশি।
মডার্না জানায়, শেষ ধাপের পরীক্ষার জন্য ভ্যাকসিনের ডোজের ১০০ মাইক্রোগ্রাম নির্ধারণ করা হয়েছে। চূড়ান্ত পরীক্ষা সফল হলে এ ডোজের মাত্রা অনুসারে কোম্পানিটি প্রতিবছর ৫০০ মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে পারবে। তবে ২০২১ সালের শুরু থেকে সুইডেনের ওষুধ নির্মাতা লঞ্জার সঙ্গে যৌথভাবে ১০০ কোটি ডোজ উৎপাদন করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে কোম্পানিটি। এ ভ্যাকসিন তৈরিতে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে মডার্না।