বেইজিং ভিত্তিক বায়োটেক সংস্থা সিনোভ্যাকের তৈরি ‘কোরোনাভ্যাক’ ভ্যাকসিনে ৯০ শতাংশ মানুষের শরীরে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখাইনি।
রোববার (১৪ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ১৪ দিনের ব্যবধানে ট্রায়ালটি পরিচালিত হয়েছিল। ভ্যাকসিনটি কার্যকরভাবে দুই সপ্তাহের মধ্যে শরীরে কার্যকরী অ্যান্টিবডি তৈরি করেছে।
এর আগে ২৯ মে সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিজ্ঞানীরা বলেন, করোনার বিরুদ্ধে লড়তে করোনাভ্যাক ভ্যাকসিন ৯৯ শতাংশ কার্যকরী।
চীনা সংস্থা সিনোভ্যাক বলছে, তাদের গবেষণাগারে তৈরি ‘কোরোনাভ্যাক’ ভ্যাকসিন করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম। এখন শুধু গণ উৎপাদনের ছাড়পত্রের অপেক্ষায় আছেন তারা। সংস্থাটি জানায়, করোনা প্রতিরোধের জন্য প্রতি বছরে ১০ কোটি ডোজ উৎপাদন করতে তারা প্রস্তুত। এছাড়া ভ্যাকসিনটি বানরের উপর প্রয়োগে আশাব্যঞ্জক ফলাফল পাওয়া গেছে। করোনাভাইরাস রোধে পরীক্ষামূলক ভ্যাকসিনটির ব্যাপক উৎপাদনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সংস্থাটি, অপেক্ষা শুধু অনুমোদনের।
প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বে দুইটি ট্রায়ালের ভিত্তিতে এ ফলাফল পেয়েছে বিজ্ঞানীরা। দ্বিতীয় ট্রায়ালে ১৮ থেকে ৫৯ বছর বয়সী মোট ৭৪৩ জন সুস্থ লোককে দুটি সময়সূচী বা একটি প্লাসবোতে শট দেওয়া হয়েছিল। ২৮ দিনের ব্যবধানে শটটি পেয়েছে এমন আরও একটি গ্রুপের ট্রায়াল থেকে আরও ডেটা প্রকাশিত হবে। সিনোভাক ট্রায়ালগুলির ফলাফল একাডেমিক জার্নালে প্রকাশ করার পরিকল্পনা করছেন বলে সংস্থার এক মুখপাত্র জানিয়েছেন।
বিশ্বব্যাপী ভাইরাসের বিরুদ্ধে ওষুধ উৎপাদন করার অভিজ্ঞতা রয়েছে সিনোভ্যাকের। ২০০৯ সালে সোয়াইন ফ্লুর টিকা বাজারজাতকারী প্রথম ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি হলো সিনোভ্যাক বায়োটেক।