মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। বিশ্বজুড়ে ইতিমধ্যে ভাইরাসটির ক্ষতির মুখে পড়েছেন বিশ্বের এক কোটি ৮৬ হাজারের বেশি মানুষ।
এদিকে হাতেগোনা কয়েকটি দেশ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরলেও মুক্ত হচ্ছে না পুরোপুরি। এমনকি নিয়ন্ত্রণে আসা উৎপত্তিস্থল চীনে দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণ দেখা দিয়েছে।
বিশ্বখ্যাত জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, প্রাণ ঝরেছে এখন পর্যন্ত ৫ লাখ প্রায় ১ হাজার ৩৯৩ জনের। এর মধ্যে গত একদিনে মৃত্যু ৪ হাজার ৫৪৭ জনের। যদিও সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন প্রায় সাড়ে ৫৪ লাখ ৫৮ হাজারের বেশি ভুক্তভোগী।
গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের তালিকায় যুক্ত হয়েছে বিশ্বের ১ লাখ ৭৬ হাজার ৫৬৮ জন মানুষ। এতে করে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে এক কোট ৮৬ হাজারের বেশি।
করোনায় বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ১ লাখ ২৮ হাজার ১৫২ জন করোনা আক্রান্ত রোগী মারা গেছেন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ২৫ লাখ ৯৬ হাজার ৫৩৭ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১০ লাখ ৮১ হাজার ৪৩৭ জন।
করোনাভাইরাস এখন দরিদ্র দেশগুলোতে বিস্তার লাভ করছে। ইতোমধ্যে ব্রাজিল আক্রান্তের হিসেবে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে ১৩ লাখ ১৫ হাজার ৯৪১ জন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং ৫৭ হাজার ১০৩ জন মারা গেছেন। একইসঙ্গে রাশিয়ায় বাড়তে শুরু করেছে আক্রান্তের সংখ্যা। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ৬ লাখ ২৭ হাজার ৬৪৬ জন এবং ৮ হাজার ৯৬৯ জন মারা গেছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর তালিকায় ইতোমধ্যে উঠে এসেছে ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের নাম। এশিয়ার স্বল্পোন্নত এসব দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৫ লাখ ২৯ হাজার ৫৭৭ জন এবং ১৬ হাজার ১০৩ জন মারা গেছে। পাকিস্তানে ২ লাখ ২ হাজার ৯৫৫ জন আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ৪ হাজার ১১৮ জন। বাংলাদেশে আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৭৮ জন এবং ১ হাজার ৬৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
চীনের উহান শহরে গত বছর ডিসেম্বর থেকে দেখা যাওয়া এই নতুন ভাইরাস মূলত ফুসফুসে বড় ধরনের সংক্রমণ ঘটায়। জ্বর, কাশি, শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যাই মূলত প্রধান লক্ষ্মণ। নতুন ভাইরাসটির জেনেটিক কোড বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে এটি অনেকটাই সার্স ভাইরাসের মতো। এখনও পর্যন্ত এ ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি।