বিশ্বে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১ কোটি সাড়ে ৭ লাখ। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ১৮ হাজার ৪৬ জন মানুষের। তবে আশার কথা হচ্ছে, এরইমধ্যে চিকিৎসা নিয়ে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫৯ লাখ ৩৪ হাজার ৩৩৫ জন।
বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ড ও মিটারের ওয়েবসাইটে এসব তথ্য জানা যায়।
জরিপ সংস্থার তথ্যমতে, চীনে নতুন করে কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। ইতালি, স্পেন, জার্মানি, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। দেশগুলোতে দিন দিন বাড়ছে সুস্থতার সংখ্যা। এছাড়া ব্রাজিলে করোনা আক্রান্তের সংখ্যার পাশাপাশি সুস্থতার সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আক্রান্ত ও মৃত্যুর দিক থেকে ইতালি, স্পেন, চীনকে পেছনে ফেলে বর্তমানে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২৭ লাখ ৭৯ হাজার ৫৫৭ জন মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তবে করোনায় আমেরিকায় প্রাণ হারিয়েছেন ১ লাখ ৩০ হাজার ৭৮৯ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১১ লাখ ৬৪ হাজার ২১ জন।
আক্রান্ত ও মৃত্যুর দিক থেকে দ্বিতীয়তে ব্রাজিল। দেশটিতে করোনা সংক্রমণে সাড়ে ১৪ লাখ ছাড়িয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। ব্রাজিলে মৃত্যু হয়েছে ৬০ হাজার ৭১৩ জনের। দেশটিতে দ্রুত বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। একই সঙ্গে বাড়ছে সুস্থতার সংখ্যা। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ২৬ হাজার ৮৬৬ জন।
আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয়তে আছে রাশিয়া। দেশটিতে করোনা সংক্রমণে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৬ লাখ ৫৪ হাজার ৪০৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৯ হাজার ৫৩৬ জনের। রাশিয়ায় করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ৪ লাখ ২২ হাজার ৯৩১ জন।
মৃত্যুর দিক থেকে তৃতীয়তে আছে যুক্তরাজ্যের নাম। ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত প্রাণহানি হয়েছে ৪৩ হাজার ৯০৬ জনের এবং আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ১৩ হাজার ৪৮৩ জন।
আক্রান্তের সংখ্যায় পঞ্চমে ইউরোপের দেশ স্পেন। দেশটিতে করোনা সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৯৬ হাজার ৭৩৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২৮ হাজার ৩৬৩ জনের।
পেরুতে দিন দিন বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৮৮ হাজার ৪৭৭ জন এবং মারা গেছেন ৯ হাজার ৮৬০ জন।
ইউরোপের আরেকটি দেশ ইতালিতে করোনায় মারা গেছেন ৩৪ হাজার ৭৮৮ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৪০ হাজার ৭৬০ জন, ইরানে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৩০ হাজার ২১১ জন এবং মারা গেছেন ১০ হাজার ৯৫৮ জন, ফ্রান্সে করোনা সংক্রমণে আক্রান্ত ১ লাখ ৬৫ হাজার ৭১৯ জন এবং মৃত্যু ২৯ হাজার ৮৬১ জনের, জার্মানিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৯৬ হাজার ৩২৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৯ হাজার ৬১ জনের।
এদিকে কিছুদিন আগেও আক্রান্তের দিক থেকে সবার শীর্ষে থাকা দেশ চীনে করোনাভাইরাস সংক্রমণে আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে। গত কয়েকদিন ধরে দেশটিতে নতুন করে কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। চীনের মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৮৩ হাজার ৫৩৪ জন, মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৬৩৪ জনের। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন ৭৮ হাজার ৪৭৯ জন।
অন্যদিকে, আক্রান্তের দিক থেকে ৪ নম্বরে অবস্থান করছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত। দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬ লাখ ৫ হাজার ২১৬ জন। এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৭ হাজার ৮৪৮ জনের। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৮৯১ জন।
জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ১ লাখ ৪৯ হাজার ২৫৮ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ৮৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬২ হাজার ১০৮ জন।
উল্লেখ্য, এই নতুন ভাইরাস মূলত ফুসফুসে বড় ধরণের সংক্রমণ ঘটায়। জ্বর, কাশি, শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যাই মূলত প্রধান লক্ষ্মণ। নতুন ভাইরাসটির জেনেটিক কোড বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে এটি অনেকটাই সার্স ভাইরাসের মতো। এই ভাইরাস নিয়ে বিশ্ব রাজনীতিতে চলছে নানা তর্ক-বিতর্ক।