নারীদের ত্বকের রং ফর্সাকারী ক্রিম ‘ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী’র নাম পরিবর্তন করে ‘গ্লো অ্যান্ড লাভলী’ করার ঘোষণা দিয়েছে হিন্দুস্তান ইউনিলিভার লিমিটেড।
বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) হিন্দুস্তান ইউনিলিভার লিমিটেড জানায়, ইতিবাচক সৌন্দর্যের দৃষ্টিভঙ্গি ও সার্বজনীন সৌন্দর্যের লক্ষ্যে ব্র্যান্ডকে এগিয়ে নিতে প্রচারের প্রচেষ্টা হিসেবে নতুন এ নাম সংযোজন করা হয়েছে। গ্লো অ্যান্ড লাভলী আগামী কয়েক মাসের মধ্যে পাওয়া যাবে বলে জানায় সংস্থাটি।
প্রসাধন জগতে প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতায় ‘ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী’ এমন একটি অগ্রগামী ব্র্যান্ড, যেটি সুলভ মূল্যে লাখ লাখ গ্রাহকের কাছে ত্বকের সুস্থ সুরক্ষায় একাধিক সুবিধা পৌঁছে দিয়েছে। ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী- তে রয়েছে ভিটামিন-বি৩, বি৬, সি এবং ই, গ্লিসারিন, ইউভিএ ও ইউভিবি সানস্ক্রিন এবং অ্যালানটোইন যা ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি সাধনের পাশাপাশি বাইরের পরিবেশের ক্ষতিকর আক্রমণ এবং পরিবেশ দূষণ থেকে ত্বককে সুরক্ষা দেয়। পণ্যটি ত্বকের মাইক্রোবায়োমকে আরও শক্তিশালী করার পাশাপাশি স্বচ্ছতা ও মসৃণতা বাড়িয়ে ত্বককে আরো উজ্জ্বল ও দীপ্তিময় করে তুলতে কাজ করে থাকে।
ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী’র নাম পরিবর্তনের পাশাপাশি ত্বকের যত্নে ব্যবহৃত কোম্পানির বাকি পণ্যগুলোও ইতিবাচক সৌন্দর্যের নতুন এই ভিশন বা লক্ষ্যমাত্রা তুলে ধরবে।
গত দশকে ‘ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী’র বিজ্ঞাপন প্রচারণায় বিবর্তনের মাধ্যমে নারী ক্ষমতায়নের বার্তাটি তুলে ধরা হয়েছে। ব্র্যান্ডটির লক্ষ্য- সৌন্দর্যের ক্ষেত্রে এমন একটি সামগ্রিক পন্থা অবলম্বন করা, যেটি অবশ্যই সার্বজনীন ও বৈচিত্র্যময় এবং সবখানে সবার কথা মাথায় রাখা। সব ধরণের গায়ের রঙ নিয়ে কথা বলতে ব্র্যান্ডটি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
২০১৯ সালের শুরুর দিকে ব্র্যান্ডের যাবতীয় যোগাযোগ মাধ্যমে ‘ত্বক ফর্সা করার উপকারিতা’ এবং ‘ফর্সাকারী’ শব্দগুলোর পরিবর্তে ব্যবহৃত হয়েছে- ‘দ্যুতি’/গ্লো, ‘উজ্জ্বল আভা’, ‘ত্বকের নির্মলতা’, এবং ‘উজ্জ্বলতা’। বস্তুতঃ পরিমার্জিত এই শব্দগুলো সুস্থ ত্বকের সামগ্রিক পরিচায়ক।
এছাড়া রঙের পরিবর্তন নির্দেশক দু’টি মুখ এবং রঙ পরিবর্তন বোঝার শেড গাইড- ‘ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী’র প্রায় সব প্যাকেট থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশের নানান বর্ণের নারীদের উপস্থিতি এবং বিচিত্রময় সৌন্দর্যের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করবে কোম্পানিটি।