ইরানের বুশেহর বন্দরে অন্তত সাতটি জাহাজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
বুধবার (১৫ জুলাই) সংবাদ সংস্থা তাসনিম এ তথ্য জানিয়েছে। দেশটির বিভিন্ন স্থানে ধারাবাহিক অগ্নিকাণ্ড এবং বিস্ফোরণের ঘটনায় সর্বশেষ সংযোজন এটি।
বার্তা সংস্থা আইআরএনএ প্রকাশিত একটি ছবিতে দেখা যায়, ঘন কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী বাতাসে ছড়িয়ে পড়েছে। দমকল বাহিনীর কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। অগ্নিকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি।
জুনের শেষ দিক থেকে ইরানের সেনাবাহিনী, পারমাণবিক এবং শিল্পাঞ্চলে বেশ কিছু বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। গত ২ জুলাই ইরানের আন্ডারগ্রাউন্ড নাতাঞ্জ পারমাণবিক কেন্দ্রেও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ৩ জুলাই ইরানের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা পরিষদ জানায়, তারা নাতাঞ্জের অগ্নিকাণ্ডের কারণ শনাক্ত করতে পেরেছে কিন্তু তা এখনই প্রকাশ করবে না।
কয়েকজন ইরানি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এটি সাইবার নাশকতা হতে পারে এবং তারা সতর্ক করে দেন যে, এধরনের আক্রমণের জন্য তেহরান কোনো দেশকে ছাড় দেবে না।
আইআরএনএ এ প্রকাশিত একটি আর্টিকেলে বলা হয়েছে, এধরনের নাশকতা ইসরায়েল এবং আমেরিকার মত শত্রুর করার সম্ভাবনা রয়েছে। যদি তারা সরাসরি কোনো অভিযোগ করেনি।
৫ জুলাই ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেন, ‘ইরানের সব রহস্যজনক ঘটনার পেছনে যে তার দেশের হাত থাকতেই হবে এমনটি নয়।’
এর আগে ৩০ জুন রাজধানী তেহরানের উত্তরে একটি ক্লিনিকে বিস্ফোরণে ১৯ জন মারা যায়। কর্তৃপক্ষ জানায়, গ্যাস লিক করে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে।
২৬ জুন, তেহরানের পূর্বে পারচিন সামরিক ও অস্ত্র ঘাঁটির নিকটে আরেকটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ঘটনার কারণ সম্পর্কে কর্তৃপক্ষ জানায়, ঘাঁটির বাইরে গ্যাস স্টোরেজের লিক এর পেছনে দায়ী।