চীনের তৈরি পরীক্ষামূলক করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের তৃতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল টেস্টে নাম লিখিয়েছে ব্রাজিলও। মঙ্গলবার (২১ জুলাই) এজেন্সি ফ্রান্স প্রেসের রিপোর্টে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রাথমিক পর্যায়ে ব্রাজিল প্রায় ৯০০ জন স্বেচ্ছাসেবকের মধ্যে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেওয়া হবে। বেসরকারি চীনা ফার্মাসিউটিক্যাল ফার্ম সিনোভ্যাকের দ্বারা তৈরি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনটি তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালে প্রবেশ করেছে। এটিই শেষ ও চূড়ান্ত ট্রায়াল যেখানে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর মধ্যে ভ্যাকসিনের পরীক্ষা করা হবে।
এটি চিকিৎসক ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের দ্বারা পরিচালিত হবে যারা ব্রাজিলের ছয়টি রাজ্য জুড়ে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করেছে। করোনা মহামারি আক্রান্ত দেশগুলোর তালিকায় অন্যতম ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে ব্রাজিল অবস্থান করছে।
রাজ্যের গভর্নর জোয়াও দোরিয়া এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, চীনের করোনাভ্যাক ভ্যাকসিনের ট্রায়াল সাও পাওলোর ক্লিনিক্যাল হাসপাতালে শুরু হবে। সম্প্রতি যেসব ভ্যাকসিনগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষায় এগিয়ে আছে এটি তার মধ্যে একটি। ৯০ দিনের মধ্যে ভ্যাকসিনের প্রাথমিক ফলাফলও পাওয়া যাবে।
চীনা সংস্থা সিনোভ্যাকের তৈরি ‘কোরোনাভ্যাক’ ভ্যাকসিন। করোনা প্রতিরোধে প্রতি বছরে ১০ কোটি ডোজ উৎপাদন করতে তারা প্রস্তুত। করোনাভাইরাস রোধে ভ্যাকসিনটির ব্যাপক উৎপাদনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সংস্থাটি।
পিপলস লিবারেশন আর্মি একাডেমি অব মিলিটারি মেডিকেল সায়েন্সেস এবং চীনা সংস্থা ক্যানসিনো বায়ো কর্তৃক উদ্ভাবিত রিকম্বিন্যান্ট অ্যাডেনোভাইরাস ভেক্টর-ভিত্তিক ভ্যাকসিন এটি। ভেক্টর ভ্যাকসিন নিরাপদ এবং একসঙ্গে অনেক রোগই নির্মূল করতে সক্ষম। করোনাভাইরাসের প্রোটিনকে প্রতিরোধ করতে ও শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িতে তুলতে সক্ষম এ ভ্যাকসিন। এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।
বিশ্বব্যাপী ভাইরাসের বিরুদ্ধে ওষুধ উৎপাদন করার অভিজ্ঞতা রয়েছে সিনোভ্যাকের। ২০০৯ সালে সোয়াইন ফ্লুর টিকা বাজারজাতকারী প্রথম ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি হলো সিনোভ্যাক বায়োটেক।