মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এখন পর্যন্ত বিশ্বে ১ কোটি ৫৩ লাখ ৭৪ হাজার ৪৮২ জন মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৩০ হাজার ২১৪ জনে। ইতিমধ্যে আক্রান্ত ৯৩ লাখ ৪৯ হাজার ৩৭৫ জন মানুষ সুস্থ হয়েছেন।
আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডওমিটার-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চীনে নতুন করে কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। ইতালি, স্পেন, জার্মানি, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যে মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। দেশগুলোতে দিন দিন বাড়ছে সুস্থতার সংখ্যাও।
করোনা সংক্রমণে উল্লেখযোগ্য দেশগুলো হলো- যুক্তরাষ্ট্রে ৪১ লাখ ৮৭৫ জন, ব্রাজিলে ২২ লাখ ৩১ হাজার ৮৭১ জন, ভারতে ১২ লাখ ৩৯ হাজার ৬৮৪ জন, রাশিয়ায় ৭ লাখ ৮৯ হাজার ১৯০ জন, দক্ষিণ আফ্রিকায় ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৯৪৮ জন, পেরুতে ৩ লাখ ৬৬ হাজার ৫৫০ জন, মেক্সিকোতে ৩ লাখ ৬২ হাজার ২৭৪ জন, চিলিতে ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৪০২ জন ও বাংলাদেশে ২ লাখ ১৩ হাজার ২৫৪ জন।
করোনায় বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৪৬ হাজার ১৮৩ জন করোনা আক্রান্ত রোগী মারা গেছেন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৪১ লাখ ৮৭৫ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৯ লাখ ৪২ হাজার ৬৩৭ জন।
আক্রান্তের দিক থেকে বর্তমানে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত ২২ লাখ ৩১ হাজার ৮৭১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৮২ হাজার ৮৯০ জনের।
তৃতীয়তে আছে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশ ভারত। দেশটিতে করোনা সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৮৯০ জনের।
জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে২ লাখ ১৩ হাজার ২৫৪ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ২ হাজার ৭৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ১৭ হাজার ২০২ জন।
চীনের উহান শহরে গত বছর ডিসেম্বর থেকে দেখা যাওয়া এই নতুন ভাইরাস মূলত ফুসফুসে বড় ধরনের সংক্রমণ ঘটায়। জ্বর, কাশি, শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যাই মূলত প্রধান লক্ষ্মণ। নতুন ভাইরাসটির জেনেটিক কোড বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে এটি অনেকটাই সার্স ভাইরাসের মতো। এখনও পর্যন্ত এ ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি।