ধর্ম মন্ত্রণালয়, বিমান কর্তৃপক্ষ ও হজ ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্টদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও শেষ মুহূর্তে হজযাত্রায় কিছুটা ঝামেলা দেখা গেলো। সেসব নিরসনে এবার আগেভাগেই কাজ শুরুর কথা ভাবছে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় বৈঠকে বসে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি।
বৈঠকে হজযাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে যে সব বেসরকারি হজ এজেন্সি শর্ত সঠিকভাবে পালন করেনি তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং লাইসেন্স বাতিলের পাশাপশি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কার্যক্রমকে সুশৃঙ্খল করার পাশাপাশি চট্টগ্রাম ও সিলেট বিমানবন্দরে ট্রানজিটের সময় কমিয়ে আনার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) সংসদ ভবনে দশম জাতীয় সংসদের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ৩৯তম বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়েছে।
কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী এ.কে.এম শাহ্জাহান কামাল, অধ্যাপক মো. আলী আশরাফ, তানভীর ইমাম, মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী, কামরুল আশরাফ খান এবং সাবিহা নাহার বেগম অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সিভিল এভিয়েশন ও বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যানসহ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের উন্নয়ন কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শনের জন্য গঠিত ৪ নম্বর সাব-কমিটির প্রতিবেদন, চলতি হজ ব্যবস্থাপনার অগ্রগতি, হোটেল সোনারগাঁও ও হোটেল রুপসী বাংলার সংস্কার কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
আলোচনা শেষে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে হজযাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে যে সব এজেন্সি শর্ত সঠিকভাবে পালন করেনি তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ও প্রয়োজনে তাদের লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ করা হয়।