কুমিল্লায় ৩০০ বছরের প্রাচীন ক্ষুদ্র আকারের পবিত্র কোরআন শরিফের কপির সন্ধান পাওয়া গেছে। দাবি করা হচ্ছে, এটি দেশের অন্যতম প্রাচীন ক্ষুদ্র কোরআন শরিফ।
কোরআন শরিফের কপিটি বংশ পরম্পরায় কুমিল্লা নগরীর তালপুকুর পাড় এলাকার পরিবহন ব্যবসায়ী জামিল আহমেদ খন্দকারের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। কোরআন শরিফের দৈর্ঘ্য দেড় ইঞ্চি ও প্রস্থ এক ইঞ্চি।
ছাপার অক্ষরের কোরআন শরিফটি খালি চোখে পড়া কঠিন। এটি ম্যাগনিফাইং গ্লাসে নিচে রেখে পড়া যায়। সেকালের জন্য এটি ক্ষুদ্র আকারের হলেও মুদ্রণ শিল্পের উন্নয়নের পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে এর চেয়ে আরও ছোট আকারের কোরআন শরিফ পাওয়া যায়। যা অনেকে গলায় মাদুলির মতো ব্যবহার করেন। অবশ্য মাদুলি আকারে কোরআন ব্যবহার বিষয়ে আলেমদের নানা মত রয়েছে।
সংরক্ষক জামিল আহমেদ খন্দকার জানান, তার পূর্বপুরুষগণ ইয়েমেন থেকে এদেশে আসেন। তারাই কোরআন শরিফটি এনেছেন। বংশ পরম্পরায় তার হাতে এখন এটি রয়েছে। ২১ বছর বয়সে তার বাবা আবদুল মতিন খন্দকার মারা যান। তাই তিনি কোরআন শরিফটি সম্পর্কে জানতে পারেননি। অনেক দিন এটা কোথায় ছিল তাও তিনি জানতেন না। সম্প্রতি আলমারিতে এটির খোঁজ পান।
কোরআন শরিফটি ৩০০ বছরের আগের হতে পারে। এটি দেশের অন্যতম ক্ষুদ্র প্রাচীন কোরআন শরিফ বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে হস্তবিদরা এটির বয়স সম্পর্কে ভালো ধারণা দিতে পারবেন। বাংলাদেশে ক্ষুদ্র আকারের কোরআন শরিফ ছাপা বা লেখা হতো না। সে হিসেবে বলা চলে, এটা নিশ্চিতভাবে অন্য দেশ থেকে আনা হয়েছে।