বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সাত বছর বয়সী একটি মেয়ে বড়জোড় প্রথম বা দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। কিন্তু মায়মুনা আর মাহদিয়ার গল্পটা একটু ভিন্ন। এই বয়সেই তারা কোরআনে কারিমের হাফেজ হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেছেন। অথচ আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের শিক্ষা জীবন শুরুই হয়নি।
মেধাবী এই দুই বোনের বাবা বারিধারা মাদরাসার হেফজ বিভাগের প্রধান। তাদের বয়স ৭ পেরিয়েছে মাত্র। এই বয়সে মাত্র ১৫ মাসে ৩০ পারা কোরআন মুখস্থ করে বিস্ময় সৃষ্টি করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে বারিধারা মাদরাসার অফিসে যমজ দুই বোন অর্ধশতাধিক আলেমের উপস্থিতিতে কোরআনে কারিমের শেষ সবক শুনান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বারিধারার মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী, মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক, উস্তাজুল হুফফাজ হাফেজ আবদুল হক, হাফেজ নাজমুল হাসান, হুফফাজুল কোরআন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাফেজ নাসির আহমাদ, মুফতি জাকির হোসাইন কাসেমীসহ অর্ধশতাধিক আলেম।
৭ বছর ৫ মাস বয়সী যমজ দুই বোনের সুললিত কণ্ঠের কোরআন তেলাওয়াত সবাইকে মুগ্ধ করেছে। উপস্থিত আলেমদের সামনে কোরআনে কারিমের ১ নম্বর পারার ২০ নম্বর পৃষ্ঠা শুনিয়েছে দুই বিস্ময়কন্যা।
কোরআনের হাফেজ মায়মুনা ও মাহদিয়ার পিতা হাফেজ নুরুল আমিন জানিয়েছেন, ‘বাসায় থেকেই তারা পবিত্র কোরআন মুখস্থ করেছে। এর পুরো কৃতিত্ব ওদের আম্মার। তিনি অবশ্য হাফেজ নন, আলেম। হেফজের শুরুর দিকে আধাপৃষ্ঠা করে মুখস্থ করত, পরে ধীরে ধীরে মুখস্থের পরিমাণ বাড়াতে থাকে। শেষের দিকে দৈনিক ৫ পৃষ্ঠাও মুখস্থ শুনিয়েছে।’
হাফেজ নুরুল আমিন কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলার বাসিন্দা। যমজ দুই সন্তানসহ তার সংসারে আরেক ছেলে রয়েছে।
যমজ দুই মেয়ে কোরআনের হাফেজ হওয়ায় আল্লাহর শোকরিয়া আদায় করে হাফেজ নুরুল আমিন বলেন, ‘এটা আল্লাহপাকের কুদরত।’