উমরা পালনে আসা মুসল্লিদের পথনির্দেশ, বিভিন্ন মাসয়ালা, ধর্মীয় পরামর্শ ও ফতোয়া দেওয়ার জন্য আগে থেকেই বিভিন্ন ভাষার মুবাল্লিগ (ধর্ম প্রচারক, ধর্মীয় পরামর্শক) নিয়োজিত আছেন।
আগে অল্প কয়েকটি ভাষায় ধর্মীয় নানা বিষয়ে সেবা দেওয়া হলেও এখন ২১ ভাষায় এ সেবা দেওয়া হচ্ছে। এটা বায়তুল্লাহ শরিফে আগত ইবাদতকারী ও উমরাকারীদের জন্য এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
মসজিদে হারামের পরিচালক সূত্রে আরব নিউজ জানিয়েছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত জিয়ারত ও উমরা পালনকারীদের উদ্ভুত নানা সমস্যা ও প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য এসব মুবাল্লিগরা নিয়োজিত। মসজিদে হারামের বিভিন্ন পয়েন্টে মোবাল্লিগরা ২১ ভাষায় দিনরাত ২৪ ঘণ্টা উমরা পালনকারীদের এ সেবা দিয়ে থাকেন।
জুমার খুতবা, প্রয়োজনীয় দোয়া, কোরআন-হাদিসের রেফারেন্স, ফতোয়া এবং অন্যান্য প্রচারণা সম্পর্কিত বিষয়াদি অনুবাদের জন্য মসজিদে হারামের মিডিয়া ও যোগাযোগ বিভাগ এ সব অনুবাদক নিয়োগ দিয়েছেন।
মসজিদে হারামের জুমার নামাজের খুতবা প্রতি সপ্তাহে বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করা হয়। মসজিদে হারামের বিভিন্ন পয়েন্টে লাউড স্পিকারের মাধ্যমে খুতবা অনুবাদ করে শোনানোর পাশাপাশি নির্দিষ্ট অ্যাপ ব্যবহার করে এ খুতবা শোনার ব্যবস্থা রয়েছে। এ ছাড়া মসজিদের হারামের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এফ.এফ রেডিওর মাধ্যমে খুতবার অনুবাদ, বিভিন্ন মাসয়ালাসহ, কোরআন তেলাওয়াত শোনার ব্যবস্থা রয়েছে।
অনুবাদ বিভাগের পরিচালক মাশারি আল মাসউদি এ বিষয়ে বলেন, মসজিদে হারামের খুতবা, দরস এবং বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর উমরাকারীদের নিজ নিজ ভাষায় দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। যেন সহজে তারা ইবাদত সম্পন্ন করতে পারেন।
তিনি বলেন, আপাতত ২১ ভাষার মুবাল্লিগ অনুবাদকগণ বিশেষ ইউনিফর্মে মসজিদে হারামের বিভিন্ন প্রাঙ্গণে নিয়োজিত রয়েছেন এবং উমরাকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন।
মাশারি আল মাসউদি আরও বলেন, মসজিদে হারামের খুতবা পাঁচ ভাষায় (ইংরেজি, উর্দু, মালয়, ফার্সি এবং বাংলা) অনুবাদ করা হয়।