বেশ কয়েক বছর ধরে সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার স্বার্থে প্রাক-নিবন্ধন পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। প্রাক-নিবন্ধনের পর বিমান ভাড়ার টাকা জমা দিয়ে চূড়ান্ত নিবন্ধন করতে হয়। এর পর হজযাত্রার অন্য খরচের টাকা এজেন্সিগুলোকে দিতে হয়।
কিন্তু চলতি বছর থেকে প্রাক-নিবন্ধন থেকে চূড়ান্ত নিবন্ধনের সময় শুধু বিমান ভাড়ার টাকা নয়, হজযাত্রার পুরো খরচের টাকা একত্রে এজেন্সির ব্যাংক একাউন্টে জমা দেওয়ার দাবী জানিয়েছে হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)।
কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়া নির্বিঘ্নে হজ ব্যবস্থাপনার স্বার্থে তারা এ দাবী করেছেন। চূড়ান্ত নিবন্ধনের সময় পুরো টাকা এজেন্সির একাউন্টে জমা হলে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম কমবে। হজের টাকা নিয়ে ভেগে যাওয়ার ঘটনা ঘটবে না। হজে যেতে না পারার যন্ত্রণা নিয়ে ইহরামের কাপড় গায়ে আর কোনো হজযাত্রীকে চোখের পানি ফেলতে হবে না।
হাবের দাবী, সরকার ঘোষিত সর্বনিন্ম হজ প্যাকেজের (২০১৯) পুরো টাকা জমা নিয়ে হজযাত্রীদের চূড়ান্ত নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে। হজ ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে শনিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) হাবের ইসির জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় হাব ওমরা স্ট্যান্ডিং কমিটির সুপারিশে চলতি বছর ওমরা যাত্রীদের মোফার ফি সর্বনিন্ম ১৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়।
নয়া পল্টনস্থ হাব কার্যালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন হাবের সভাপতি আব্দুস ছোবহান ভূঁইয়া।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন হাবের মহাসচিব এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম, ইসির অন্যতম সদস্য এডভোকেট ড. আব্দুল্লাহ আল নাসের, বীর মুক্তিযোদ্ধ মো. তাজুল ইসলাম, রুহুল আমিন মিন্টু, মাওলানা ফজলুর রহমান মুন্সী, এস এম ইবরাহিম, মাওলানা ইয়াকুব শরাফতি, এম এন এইচ খাদেম দুলাল, খাজা মঈন উদ্দিন আহমেদ জালালাবাদী, শাহ আলম, ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোহাম্মদ, মো. নাজিম উদ্দিন ও রফিকুল ইসলাম বিক্রমপুরি।
সভায় নেতৃবৃন্দ হজযাত্রী পরিবহনে বিমান ও সাউদিয়া এয়ারলাইন্সের স্বেচ্ছাচারিতার তীব্র নিন্ধা জানিয়ে বলেন, জাতীয় হজনীতি তোয়াক্কা না করে উল্লেখিত দু’টি এয়ারলাইন্স ৫০-৬০ দিনের প্যাকেজে হজ টিকিট বিক্রি করে হাজীদের অসহনীয় কষ্ট দিচ্ছে।
নেতৃবৃন্দ আগামী হজ মৌসুমের আগেই সুষ্ঠুভাবে হজযাত্রী পরিবহনের লক্ষ্যে থার্ড ক্যারিয়ার চালু এবং হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া সহনীয় পর্যায়ে কমিয়ে আনার জোর দাবী জানান।