ফ্রান্সে বোরকা নিষিদ্ধের ঘটনাকে মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক কমিটি।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে তারা বলেন, ফ্রান্সে মুসলিম নারীদের জন্য ধর্মীয়ভাবে পুরো শরীর ঢেকে রাখার যে প্রথা, সেটাকে নিষিদ্ধ করা স্পষ্টতই মানবাধিকার লঙ্ঘন।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক কমিটির ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ফ্রান্সে বোরকার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। এছাড়া এ ধরনের সিদ্ধান্ত নাগরিকদের ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতি আঘাত বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। দেশটির সরকারকে বোরকা নিষিদ্ধের আইনটি পুনরায় বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছেন তারা।
মানবাধিকার বিষয়ক ওই কমিটিতে কিছু স্বাধীন বিশেষজ্ঞ রয়েছেন। যারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী মানুষের নাগরিক এবং রাজনৈতিক অধিকারের বিষয়গুলো দেখভাল করেন। বোরকা নিষিদ্ধের বিষয়ে ফ্রান্স কী পদক্ষেপ নিয়েছে এ বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে দেশটির সরকারকে ১৮০ দিন সময় বেঁধে দিয়েছেন তারা।
উল্লেখ্য, দেশটিতে ২০১২ সালে দুইজন নারীকে ২০১০ সালে প্রণীত একটি আইনে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ওই আইনে বলা হয়েছে, ফ্রান্সে কেউ প্রকাশ্যে এমন কোনো পোশাক পড়তে পারবেন না, যা তাদের শরীরকে ঢেকে রাখে। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে ফ্রান্সের ওপর এমন নির্দেশনা জারি করলো জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কমিটি। যদিও এ আদেশ মানার কোনো বাধ্যবাধকতা ফ্রান্সের নেই।
ফ্রান্সে আনুমানিক পাঁচ মিলিয়ন মুসলমান বসবাস করেন।
ডেনমার্ক, অস্ট্রিয়া এবং বেলজিয়ামসহ অন্যান্য ইইউভুক্ত দেশগুলোতে একই রকম মুখ ঢেকে রেখে বোরকা নিষিদ্ধ করেছে।
-ইন্ডিপেন্ডেন্ট অবলম্বনে