গাজায় ১ হাজার মসজিদ ধ্বংস করেছে ইসরায়েল

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

গাজার খান ইউনিসের হামাদ এলাকার একটি মসজিদ, ছবি: সংগৃহীত

গাজার খান ইউনিসের হামাদ এলাকার একটি মসজিদ, ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ওয়াকফ ও ধর্মীয় বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে যে, ২০২৪ সালে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সেনাদের বিমান হামলায় প্রায় ১ হাজার মসজিদ ধ্বংস হয়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছর ইসরায়েলি সেনারা ৯৬৬টি মসজিদ ধ্বংস করেছে। এর মধ্যে ৮১৫টি মসজিদ পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে এবং ১৫১টি মসজিদ আংশিকভাবে ধ্বংস করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এ ছাড়া ১৯টি কবরস্থানও ধ্বংস করা হয়েছে, একাধিক কবর ভেঙে ফেলা হয়েছে এবং মৃতদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। বিমান হামলায় ৩টি গির্জা ধ্বংস করা হয়েছে।

রোববার (৫ জানুয়ারি) মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক মিডল ইস্ট মনিটর সংবাদমাধ্যমটির এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

বিজ্ঞাপন

এই ধ্বংসযজ্ঞের খবরটি এসেছে এমন এক সময়ে, যখন অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি আক্রমণ অব্যাহত রয়েছে এবং তা গত ১৬ মাস ধরে চলমান। আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক সমালোচনা হলেও ইসরায়েলি সেনাদের হামলা থামছে না।

গাজার জনগণের ওপর এই বর্বর হামলার কারণে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তার প্রাক্তন যুদ্ধমন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ এবং গাজার জনগণের ওপর দুর্ভিক্ষ চালানোর অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।

ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংস হওয়া একটি মসজিদের গম্বুজ, ছবি: সংগৃহীত

উল্লেখ্য, গাজার অবরুদ্ধ অবস্থায় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ৪৬ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ২০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে।

২০২৫ সালের প্রথম দিকে ৫ জানুয়ারি গাজা উপত্যকায় একদিনেই অন্তত ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়। এ ছাড়া গত তিন দিনে ১০০ বারের বেশি বোমা হামলা চালিয়ে ২০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে, যার মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

এমন পরিস্থিতিতে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের এই ধ্বংসযজ্ঞ শুধু মানুষ হত্যা বা বসতিগুলোর ধ্বংস নয়, বরং এটি ফিলিস্তিনির সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য ধ্বংসের অংশ। মসজিদ, গির্জা, কবরস্থান- এসব ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক স্থানগুলো ধ্বংস হওয়ায় প্যালেস্টাইনি জনগণের চিহ্ন এবং ঐতিহ্যও বিলীন হয়ে যাচ্ছে।

এদিকে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গাজার মানবিক সংকট নিয়ে নিন্দা জানালেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ এখনও দৃশ্যমান হয়নি।