বিশ্বের অনেক দেশকে এখনও সৌদি আরব ওমরার অনুমোদন দেয়নি। তবে বাংলাদেশের ওমরাযাত্রীরা সৌদি কর্তৃপক্ষের দেওয়া শর্তসমূহ পূরণ সাপেক্ষে ওমরার ভিসা পাচ্ছেন। দীর্ঘদিন পর পবিত্র ওমরা চালু হলেও সৌদি আরবের নিত্যনতুন বিভিন্ন নিয়ম-নীতির কারণে ধর্মপ্রাণ মানুষের মাঝে বিশাল হতাশা লক্ষ করা যাচ্ছে। অধিকাংশ মানুষ অপেক্ষায় আছেন, নীতিমালার ক্ষেত্রে কিছুটা শিথিলতা আসার। তার পরও যেভাবে ওমরার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে, এভাবে যদি চলতে থাকে- তাহলে সাধারণ মানুষ এমনিতেই আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে।
আগাম কোনো ঘোষণা ছাড়া সৌদি আরবে ওমরাযাত্রীদের পরিবহন ভাড়া হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়ায় এজেন্সিগুলো চরম বিপাকে পড়েছে। আগের চুক্তি অনুযায়ী ওমরাযাত্রীদের ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হওয়ায় যাত্রী ও এজেন্সির মালিকদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হচ্ছে। অতিরিক্ত ভাড়ায় ওমরাযাত্রীদের ট্রান্সপোর্ট চুক্তি করতে ব্যর্থ হওয়ায় ওমরা ভিসা করতে হিমসিম খাচ্ছে এজেন্সিগুলো।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৈশ্বিক মহামারি করোনার দীর্ঘ ১৯ মাস পর গত আগস্ট মাসের শেষের দিকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ওমরাযাত্রীদের ভিসা চালু হয়। ২৫ আগস্ট বাংলাদেশ থেকে প্রথম ওমরাযাত্রীর দল সৌদিতে গমন করেন।
এদিকে গত ১ অক্টোবর থেকে ওমরা ভিসা সিস্টেমে হায়েস গাড়ি আউট করে দেওয়ায় কাঙ্ক্ষিত যাত্রীদের ভিসার আবেদন করা সম্ভব হচ্ছে না। বেশ কয়েকটি ওমরা এজেন্সির মালিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তারা জানিয়েছেন, ছোট ওমরা গ্রুপের ট্রান্সপোর্ট সঙ্কটের দরুন ওমরা ভিসা করতে পারছে না অধিকাংশ ওমরা এজেন্সি। আগে ২ জনের প্রাইভেটকারের ভাড়া ছিল এক হাজার ৮ শ’ সৌদি রিয়াল। ১ অক্টোবর থেকে প্রাইভেটকারের ভাড়া বাড়িয়ে ৩ হাজার ৮৭৯ রিয়াল নির্ধারণ করা হয়েছে। ৫ জন ওমরাযাত্রীর জিএমসি র ভাড়া ছিল ২ হাজার ৪৯৪ রিয়াল। বর্তমানে এমন জীপের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ৮১৪ রিয়াল। আগে ওমরাযাত্রীদের হায়েস গাড়ির ভাড়া ছিল ২ হাজার ৫ রিয়াল। এখন ওমরা সিস্টেম থেকে হায়েস গাড়ি আউট করে দেওয়া হয়েছে। তবে ওমরাযাত্রীদের ২৪ সিটের বড় গাড়ির ভাড়া বাড়েনি। বড় গাড়ির ভাড়া ৫ হাজার ১৭১ রিয়াল বহাল রাখা হয়েছে।
সৌদি সরকার ছোট গ্রুপের ওমরাযাত্রীদের প্যাকেজে নিরুৎসাহিত করার লক্ষ্যেই গাড়ি ভাড়া বাড়িয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ওমরা সিস্টেম থেকে হায়েস গাড়ি বন্ধ রাখায় ৮/৯ জনের ওমরাযাত্রীকে এখন ৫ হাজার ১৭১ রিয়াল ভাড়া দিয়ে ২৪ সিটের বড় গাড়ি ভাড়া করতে বাধ্য হচ্ছে এজেন্সিগুলো। এতে ওমরা এজেন্সিগুলো আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এ বিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ওমরার এজেন্সির মালিকরা।