বাংলাদেশের আকাশে ১৪৪৩ হিজরি সনের রবিউস সানি মাসের চাঁদ দেখা গেছে। রোববার (৭ নভেম্বর) থেকে রবিউস সানি মাস গণনা শুরু হবে। ফলে আগামী ১৭ নভেম্বর, বুধবার (১১ রবিউস সানি ) পবিত্র ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম পালিত হবে।
শনিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পূর্ব সাহানে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী এনামুল হাসান, এনডিসি।
চাঁদ দেখা কমিটির সভায় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মুনিম হাসান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মো. মুশফিকুর রহমান (অতিরিক্ত সচিব), বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসক আবদুল্লাহ সাজ্জাদ (অতিরিক্ত সচিব), সিনিয়র উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. আবদুল জলিল, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম-সচিব মো. ছাইফুল ইসলাম, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মো. নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ টেলিভিশনের পরিচালক (অর্থ) মো. জহিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের পিএসও আবু মোহাম্মদ, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, লালবাগ শাহী মসজিদের খতিব মুফতি মুহাম্মদ নেয়ামতুল্লাহ ও চকবাজার শাহী মসজিদের খতিব মুফতি শেখ নাঈম রেজওয়ান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সকল জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়সমূহ, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান হতে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা মতে, শনিবার (২৯ রবিউল আউয়াল, ৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে রবিউস সানি মাসের চাঁদ গেছে বলে সিদ্ধান্ত হয়।
ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহাম হলো, বড় পীর হজরত আবদুল কাদির জিলানী (রহ.)- এর ওফাত দিবস। হিজরি ৫৬১ সনের ১১ রবিউস সানি তিনি ইন্তেকাল করেন। ‘ইয়াজদাহম’ ফারসি শব্দ, অর্থ এগারো। ফাতিহা-ই-ইয়াজদাহম বলতে রবিউস সানি মাসের এগারোতম দিনকে বোঝায়। এই ফাতিহা-ই-ইয়াজদাহম আবদুল কাদের জিলানী (রহ.)-এর স্মরণে পালিত হয়।
এ কথা অনস্বীকার্য যে, হজরত আবদুল কাদির জিলানী (রহ.)-এর অবদান বিশ্বে অনন্য। তিনি মুসলিমদের কাছে চির স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তবে তার ওফাত উপলক্ষ্যে ঘটা করে দিবস পালন উলামায়ে কেরাম জায়েজ মনে করেন না। কেননা ইসলাম এ ধরনের অনুষ্ঠানসর্বস্ব বিষয়কে স্বীকৃতি দেয় না।
তবে এ দিনে তার শান্তির জন্য দোয়া-মোনাজাত ও তার জীবনী আলোচনা করা যেতে পারে। এতে দোষের কিছু নেই।