কওমি মাদ্রাসা শিক্ষার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিসকে স্নাতকোত্তরের (ইসলামিক শিক্ষা ও আরবি) স্বীকৃতি দিয়ে আইন পাস করায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শুকরানা মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। কওমি মাদ্রাসাগুলোর সর্বোচ্চ সংস্থা ‘আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’-এর শুকরানা মাহফিলের আয়োজন।
হেফাজতে ইসলামের আমির হাইয়াতুল উলইয়ার চেয়ারম্যান আল্লামা শাহ আহমদ মাহফিলে সভাপতিত্ব করবেন।
রোববার (৪ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে শুকরানা মাহফিল শুরু হয়েছে। তবে ফজরের নামাজের পর থেকেই আগতরা এসে প্যান্ডেলে অবস্থান নিয়েছেন। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও এর আশপাশের এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে গেছে।
শুকরানা মাহফিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। আরও উপস্থিত থাকবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ। অনুষ্ঠানে মঞ্চে হাইয়াতুল উলইয়াভুক্ত ছয়টি বোর্ডের নেতারা উপস্থিত থাকবেন।
মাহফিল উপলক্ষে সারা দেশ থেকে কওমি মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মসজিদভিত্তিক গণশিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত ইমামরা ঢাকায় এসেছেন।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর কওমি মাদ্রাসা শিক্ষার সনদের স্বীকৃতি দিয়ে জাতীয় সংসদে আইন পাস হয়। এর দেড় মাস পর এই শুকরানা মাহফিলের আয়োজন করা হলো।
শুকরানা মাহফিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সম্মাননা জানিয়ে ক্রেস্ট দেওয়া হবে। একইসঙ্গে সম্মাননা দেওয়া হবে আল্লামা শাহ আহমদ শফীকেও। এছাড়া বেশ কিছু দাবি-দাওয়া তুলে ধরা হবে এ অনুষ্ঠান থেকে। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, কাদিয়ানিদের সরকারিভাবে অমুসলিম ঘোষণা, ইসলামবিরোধী শক্তিকে প্রতিহত করা এবং আলেম, ইমাম ও ছাত্র-শিক্ষকদের বিরুদ্ধে হয়রানির মামলা প্রত্যাহার করা। বিশেষ করে হেফাজতের ৫ মে শাপলা চত্বরে সমাবেশকে কেন্দ্র করে হওয়া মামলাগুলো প্রত্যাহারের বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন হাইয়াতুল উলইয়ার একাধিক নেতা।
শুকরানা মাহফিল উপলক্ষে আজকের পাবলিক পরীক্ষাগুলো স্থগিত করা হয়েছে। ডিএমপির পক্ষ থেকে যান চলাচলে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।