কওমি মাদ্রাসা শিক্ষার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিসকে স্নাতকোত্তরের (ইসলামিক শিক্ষা ও আরবি) স্বীকৃতি দিয়ে আইন পাস করায় কওমি মাদ্রাসাগুলোর সর্বোচ্চ সংস্থা ‘আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’-এর আয়োজনে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শুকরানা মাহফিল চলছে।
রোববার (৪ নভেম্বর) সকাল ১১টায় হাফেজ তারিকুল ইসলামের কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে শুকরানা মাহফিল শুরু হয়।
হেফাজতে ইসলামের আমির হাইয়াতুল উলইয়ার চেয়ারম্যান আল্লামা শাহ আহমদ মাহফিলে সভাপতিত্ব করছেন।
শুকরানা মাহফিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন। তিনি উপস্থিত আলেমদের বক্তব্য মনোযোগ সহকারে শুনছেন।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করছেন বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার যুগ্ম-মহাসচিব মুফতি মাহফুজুল হক ও গওহরডাঙ্গা শিক্ষা বোর্ডের মুফতি মাকসুদুল হক।
সমাবেশ মঞ্চে আরও উপস্থিত আছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল জয়নাল আবেদীন, নৌপরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খান ও হাইয়াতুল উলইয়াভুক্ত ছয় বোর্ডের নেতারা।
অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল জয়নাল আবেদীন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার মহাসচিব মাওলানা আবদুল কুদ্দুস।
শুকরানা মাহফিলে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে কওমি নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দিচ্ছেন। বক্তব্য রেখেছেন মাওলানা নুরুল ইসলাম, মাওলানা আবদুল বছির ও মাওলানা আরশাদ রাহমানী।
মাহফিল উপলক্ষে সারা দেশ থেকে কওমি মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মসজিদভিত্তিক গণশিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত ইমামরা ঢাকায় এসেছেন।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর কওমি মাদ্রাসা শিক্ষার সনদের স্বীকৃতি দিয়ে জাতীয় সংসদে আইন পাস হয়। এর দেড় মাস পর এই শুকরানা মাহফিলের আয়োজন করা হলো।
শুকরানা মাহফিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সম্মাননা জানিয়ে ক্রেস্ট দেওয়া হবে। একইসঙ্গে সম্মাননা দেওয়া হবে আল্লামা শাহ আহমদ শফীকেও। এছাড়া বেশ কিছু দাবি-দাওয়া তুলে ধরা হবে এ অনুষ্ঠান থেকে। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, কাদিয়ানিদের সরকারিভাবে অমুসলিম ঘোষণা, ইসলামবিরোধী শক্তিকে প্রতিহত করা এবং আলেম, ইমাম ও ছাত্র-শিক্ষকদের বিরুদ্ধে হয়রানির মামলা প্রত্যাহার করা। বিশেষ করে হেফাজতের ৫ মে শাপলা চত্বরে সমাবেশকে কেন্দ্র করে হওয়া মামলাগুলো প্রত্যাহারের বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন হাইয়াতুল উলইয়ার একাধিক নেতা।