নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সবচেয়ে বেশি দাওয়াত দেওয়ার সুযোগ হয়, যা অন্যকোনো উপায়ে সম্ভব হয় না। ইসলামী আন্দোলন নির্বাচনের ময়দানকে দাওয়াতের সবচেয়ে বড় ময়দান মনে করে নির্বাচনী জেহাদে অবতীর্ণ হয়েছে। ফলে ঘরে ঘরে ইসলামের সুমহান আদর্শের দাওয়াত পৌঁছে যাচ্ছে। এভাবেই গণদাওয়াতের মাধ্যমে ইসলামের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি করে ইসলামকে বিজয়ী আদর্শ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
রোববার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী ঘোষণা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই এসব কথা বলেন।
সংগঠনের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। বক্তব্য রাখেন- প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম। উপস্থিত ছিলেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম আতিকুর রহমান, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, মাওলানা নেছার উদ্দিন ও আলহাজ্ব আব্দুর রহমান।
সভায় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত মেয়র প্রার্থী হিসেবে মুফতি মাসুম বিল্লাহর নাম ঘোষণা করা হয়। এ ছাড়া ৯ জন কাউন্সিলর প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়।
১ নং ওয়ার্ড হাজী আব্দুল মালেক, ৩ নং ওয়ার্ড মুহাম্মাদ ইরান হোসেন, ৪ নং ওয়ার্ড মুহাম্মাদ বিল্লাল হোসেন, ৫ নং ওয়ার্ড মুহাম্মাদ ইসমাইল হোসেন, ৬ নং ওয়ার্ড মুহাম্মাদ মিজানুর রহমান, ৭ নং ওয়ার্ড মুহাম্মাদ নুরুল আমীন দুলাল, ৮ নং ওয়ার্ড মুহাম্মাদ সোহেল প্রধান, ১৩ নং ওয়ার্ড মুহাম্মাদ ফিরোজ আলম লিটন, ১৭ নং ওয়ার্ড শেখ মুহাম্মাদ হাসান আলী, ২১ নং ওয়ার্ড মুহাম্মাদ নুর হোসেন, ২৭ নং ওয়ার্ড হাজী মুহাম্মাদ আবুল হাসেম।
একই অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জ জেলার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। মাওলানা দ্বীন ইসলামকে আহ্বায়ক, হাজী আব্দুর রশিদ ও মাওলানা মাসুম বিল্লাহকে যুগ্ম-আহ্বায়ক, মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে সদস্য সচিব ও মামুনুর রশিদকে সদস্য করে ৫ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন দলের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই।
অনুষ্ঠানে মুফতি ফয়জুল করীম আরও বলেন, সারাদেশে চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে হাতপাখার চেয়ারম্যান প্রার্থী ও দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর সরকার দলীয়রা নানা ধরনের জুলুম-নির্যাতন, হুমকি-ধমকি, চাপপ্রয়োগ এবং প্রার্থীতা প্রত্যাহারে ভয়-ভীতি প্রদান করে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। নির্বাচনে সাধারণ মানুষ তাদের পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দিতে পারছে না।