বিগত দুই বছর করোনা মহামারির কারণে বিদেশিদের জন্য হজপালন বন্ধ থাকলেও ধারণা করা হচ্ছে, এবার বিদেশিরা হজপালনের সুযোগ পাবেন। এ লক্ষে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে সৌদি আরব। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২২ সালের জন্য পাকিস্তানের হজ কোটা ১৭৯,২১০ থেকে বাড়িয়ে দুই লাখে উন্নীত করা হয়েছে। সম্প্রতি পাকিস্তানের ধর্ম বিষয়ক ও আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি সংক্রান্ত সিনেটের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে একথা জানানো হয়।
যদিও পাকিস্তান ২০২২ সালের জন্য এই সংখ্যা আরও ২০ হাজার বাড়ানোর দাবি করেছে।
কমিটিকে জানানো হয়, হজ কোটা ৬০/৪০ অনুপাতে বিতরণ করা হবে। ৬০ শতাংশ সরকারি ব্যবস্থাপনায় এবং ৪০ শতাংশ বেসরকারি ১০০টি হজ এজেন্সির জন্য বরাদ্দ করা হবে।
বৈঠকে কমিটিকে জানানো হয়, সব হজযাত্রীকে ই-ভিসা সুবিধা দেওয়া হবে। কমিটির সভায় করোনা পরিস্থিতির কারণে স্বাস্থ্য প্রোটোকল, টিকা গ্রহণ এবং রোড-টু-মক্কা উদ্যোগ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
উল্লেখ্য, হজ কোটা শুধু পাকিস্তানের জন্য বাড়ানো হয়নি। ২০২০ সালের বাংলাদেশিদের হজ কোটা ১০ হাজার বাড়ানো হয়। সে হিসেবে চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ৩৭ হাজার বাংলাদেশি হজে যেতে পারবেন। আর ২০১৯ সালে ভারতের হজ কোটাও বাড়ানো হয়। ভারতের হজ কোটা ১ লাখ ৭০ হাজার থেকে বাড়িয়ে দুই লাখ করা হয়েছে।
হজ কোটা যেভাবে নির্ধারিত হয়
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর সংগঠন অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন বা ওআইসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হজের কোটা নির্ধারণ করা হয়। ওআইসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতি দশ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে এক হাজার জন হজে যেতে পারেন। বাংলাদেশের জনসংখ্যা যেহেতু ১৮ কোটি, সেজন্য বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর এক লাখ আশি হাজার মানুষের হজ পালনে যাওয়ার কথা। কিন্তু ধর্মভিত্তিক জনশুমারি না থাকায় বাংলাদেশকে তাদের প্রাপ্য কোটা থেকে কমেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়।