শ্রমিকদের বঞ্চিত রেখে দেশের কল্যাণ সম্ভব নয়। স্বাধীনতা অর্জনের ৫০ বছরেও ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য দূর করা যায়নি, বরং দিন দিন বৈষম্য বাড়ছে। দেশের অধিকাংশ মানুষ শ্রমিক শ্রেণির। ইসলামী আন্দোলন দেশে ইসলামি হুকুমত প্রতিষ্ঠার লক্ষে কাজ করছে। দেশের অধিকাংশ জনশক্তি শ্রমিক জনতাকে ঐক্যবদ্ধ করে একটি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য দায়িত্বশীলদের কাজ করতে হবে। দায়িত্বশীলদের দায়িত্বানুভুতি নিয়ে কাজ করলে সফলতা আসবেই- ইনশাআল্লাহ।
রোববার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশের নবনির্বাচিত দায়িত্বশীলদের পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই এসব কথা বলেন।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি আলহাজ্ব মুহাম্মদ আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে সেক্রেটারী জেনারেল হাফেজ মাওলানা সিদ্দিকুর রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত পরিচিতি সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই ও দলের মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউনুছ আহমাদ। বক্তব্য রাখেন আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, মুফতি মোস্তফা কামাল প্রমুখ।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, বিজয়ের ৫০ বছর অতিক্রম করছি আমরা। একটি জিনিস দেশবাসীকে ভাবিয়ে তুলেছে, তাহলো দেশে নাকি দুই হাজারের বেশি মুক্তিযোদ্ধা আছে- যাদের বয়স ৫০ বছর। আর স্বাধীনতারও ৫০ বছর। এটা কিভাবে সম্ভব? এ সময় তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে ব্যবসা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে পারলে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকবা প্রণয়নের আহ্বান জানান।
মুফতি সৈয়দ ফয়জুল বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরে দেশের মানুষ তাদের মৌলিক অধিকার ও ভোটাধিকার এবং বাক স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত।
সভাপতির বক্তব্যে আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম বলেন, শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন কাজ করছে। তিনি সকল দায়িত্বশীলদেরকে ইসলামি শ্রমনীতি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার কাজ ত্বরান্বিত করার আহ্বান জানান।