বেসরকারি কোটায় ২০১৯ সালে পবিত্র হজে যাওয়ার সুযোগ শেষ। এ বিষয়ে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় একটি জরুরি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পবিত্র হজগমনে ইচ্ছুকদের অবগতির জন্য যাচ্ছে যে, ২০১৯ সালে বেসরকারি হজ এজেন্সির মাধ্যমে প্রাক-নিবন্ধনের হজ কোটা ইতোমধ্যে পূর্ণ হয়েছে। শুধুমাত্র সরকারি ব্যবস্থাপনায় ২০১৯ সালে হজের প্রাক-নিবন্ধন করার সুযোগ আছে এবং প্রাক-নিবন্ধন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সুতরাং সরকারি ব্যবস্থাপনায় নির্ধারিত কোটা শেষ হওয়ার পূর্বে প্রাক-নিবন্ধন সম্পন্ন করে ২০১৯ সালে হজযাত্রা নিশ্চিত করার সুযোগ রয়েছে।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ গমনে ইচ্ছুকরা আশকোনা হজ অফিস, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রিয় ও জেলা কার্যালয়, ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্রসহ ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট ও হজ পোর্টাল থেকে অ্যাপসের মাধ্যমে প্রাক-নিবন্ধন সম্পন্ন করতে পারবেন।
রোববার (১১ নভেম্বর) পর্যন্ত বেসরকারি কোটায় হজে যেতে প্রাক-নিবন্ধন করেছেন এক লাখ ৯৮ হাজার ২৭৫ জন। যা ২০১৮ সালের জন্য বেসরকারিভাবে নির্ধারিত কোটার চেয়ে প্রায় ৮১ হাজার ১১৭ জন বেশি। প্রাক-নিবন্ধন করা অতিরিক্ত হজযাত্রীরা ২০২০ সালে ক্রমানুসারে হজে যেতে পারবেন।
তবে কোটা শেষ হয়ে প্রাক-নিবন্ধন করা যাবে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। বেসরকারি কোটায় অতিরিক্ত নিবন্ধন হলেও সরকারি কোটায় এখনও প্রায় পাঁচ হাজার জনের কোটা খালি রয়েছে। রোববার (১১ নভেম্বর) পর্যন্ত সরকারি কোটায় যেতে প্রাক-নিবন্ধন করেছেন পাঁচ হাজার ২৯৯ জন।
সুতরাং ২০১৯ সালে কেউ হজে যেতে চাইলে সরকারি কোটায় প্রাক-নিবন্ধন করে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এই তথ্য জানিয়েছেন।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চলকিত বছর বাংলাদেশি হজযাত্রীদের জন্য হজের কোটার বাড়ার সম্ভাবনা খুবই কম। ২০১৮ সালে বাংলাদেশি হাজিদের জন্য কোটা নির্ধারিত ছিলো এক লাখ ২৭ হাজার ১৫৮ জন।
তন্মধ্যে বেসরকারি কোটায় যেতে পারবেন এক লাখ ১৭ হাজার ১৫৮ জন। বাকি ১০ হাজার সরকারি কোটায় যেতে পারবেন। তবে ২০১৮ সালে সরকারি কোটায় ১০ হাজার হজযাত্রীর পূরণ না হওয়ায় অতিরিক্ত কোটা বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।