হজ ব্যবস্থাপনাকে স্বচ্ছ ও গতিশীল করতে নতুন নতুন পরিকল্পনা করছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। লক্ষ্য একটাই হজ ব্যবস্থাপনাকে ঢেলে সাজানো। এরই অংশ হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো হজ ক্যালেন্ডার প্রকাশ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে রোববার (১১ নভেম্বর)২০১৯ সালের হজ সংক্রান্ত বিভিন্ন কর্ম পরিকল্পনার সূচি হজ ক্যালেন্ডার প্রকাশ করা হয়েছে।
হজ ক্যালেন্ডারে বলা হয়েছে, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২০১১৯ সালে ১০ আগস্ট পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে।
ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, নির্দিষ্ট সময়ে গৃহীত পরিকল্পনাগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দ্বিতীয় বছরের মতো এ হজ ক্যালেন্ডার প্রকাশ করা হলো।
প্রকাশিত হজ ক্যালেন্ডারে গৃহীত মোট ৭৯টি কার্যক্রমের কোনটি কবে শুরু ও কবে শেষ এবং কোন কার্যক্রম বাস্তবায়নে কোন কর্মকর্তা থাকবেন তা সুনির্দিষ্ট করে উল্লেখ করা হয়েছে।
চলতি বছরের ১০ নভেম্বর থেকে হজ ক্যালেন্ডারের কাজ শুরু হয়ে ২০১৯ সালের ১৫ আগস্ট পর্যন্ত চলবে।
গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে- ২০১৮ সালের হজোত্তর কার্যক্রম মূল্যায়ন ও পর্যালোচনা, হজ আইন প্রণয়ন, ২০১৮ সালের হজযাত্রীদের তথ্য আর্কাইভ প্রণয়ন, হজযাত্রীদের অভিযোগের নিষ্পত্তি, হজ বিষয়ক ফিডব্যাক সেমিনার, আইটি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ, সৌদি সরকারের সঙ্গে হজ বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সম্পাদন, হজ ও ওমরা নীতি- ২০১৯ সংশোধন/হালনাগাদ, হজযাত্রীর সংখ্যা নির্ধারণ, হজ প্যাকেজ ঘোষণা, বৈধ হজ এজেন্সির তালিকা প্রকাশ করা, বিভিন্ন দফতর ও সংস্থার সঙ্গে চুক্তি, হজযাত্রীদের পিআইডি প্রদান, হজগাইড নিয়োগ, রাষ্ট্রীয় খরচে হজযাত্রীদের তালিকা প্রকাশ, হজযাত্রা শুরু ও শেষ ইত্যাদি কার্যক্রমের বিবরণ।
হজ ক্যালেন্ডার মতে, ২০১৯ সালের ৪ জুলাই হজ ফ্লাইট শুরু হতে পারে। চলবে একমাস। আর ফিরতি হজ ফ্লাইট শুরু হবে ১৬ আগস্ট থেকে।
গতবার পরিকল্পনা করা হলেও এ বছর থেকে সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ তাদের ইমিগ্রেশন বাংলাদেশে সম্পন্ন করতে পারে বলে হজ ক্যালেন্ডারে উল্লেখ করা হয়েছে। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে, জেদ্দা বা মদিনা বিমানবন্দর থেকে হাজীরা বিমান থেকে নেমে সরাসরি মক্কা বা মদিনার হোটেলে চলে যেতে পারবেন। বিমান বন্দরে আর অপেক্ষা করতে হবে না।