সুগন্ধা নদীতে ভয়াবহ লঞ্চ দুর্ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ আহতদের মাঝে অর্থ সহায়তা বিতরণ, নিহতদের মাগফেরাত কামনা ও পরিবারগুলোর প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন সাদাকাহ ইউএসএ-এর উপদেষ্টা ছারছীনা দরবার শরীফের বড় হুজুর আলহাজ্ব মাওলানা শাহ মোঃ সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী।
২৯ ডিসেম্বর দুপুরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ ইনিস্টিটিউট পরিদর্শনে গিয়ে আর্থিক অনুদানের পাশাপাশি অগ্নিদগ্ধদের সুস্থতা কামনায় বিশেষ মোনাজাত করেন। এ সময় তিনি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিদগ্ধদের স্বাস্থ্যের খোঁজ-খবর নেন। কথা বলেন চিকিৎসকদের সঙ্গে।
লঞ্চ দুর্ঘটনায় নিহত ও দগ্ধদের জন্য সরকারের সহায়তার প্রশংসা করে আলহাজ্ব মাওলানা শাহ মো. সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ায় ভালো চিকিৎসা সুবিধা পাচ্ছেন দগ্ধ ও আহতরা।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ ইনিস্টিটিউট পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন সেন্টার ফর হিউম্যান রাইট মুভমেন্ট (সিএইচ আর এম)-এর সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব এম. এম. মিজানুর রহমান, প্রফেসর মাওলানা মো. শামসুদ্দিন ও জুবায়ের আহমেদ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, সেবামূলক সংস্থা সাদাকাহ ইউএসএ লঞ্চ দুর্ঘটনার পরপরই নিহতদের জানাজা ও দাফনের জন্য সহায়তা নিয়ে সবার আগে কাজ শুরু করে। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরা আহত ও দগ্ধদের বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি থেকে শুরু করে নানাবিধ সেবা দিয়েছেন। এবার ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ ইনিস্টিটিউটে ভর্তি হওয়া দগ্ধ অসহায়দের জন্য সহায়তায় এগিয়ে এসেছেন। এ কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এ সাহায্য সংস্থার প্রধান নির্বাহী মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ।
এর আগে নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে নিহতদের দাফন, তাদের স্বজনদের জন্য এককালীন বিভিন্ন সহায়তার পাশাপাশি আহতদের জন্য অর্থসহায়তা ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করে সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন পর্যায়ে প্রশংসা কুড়িয়েছে সংস্থাটি। এ ছাড়া নেত্রকোনার হাওড়ে নৌকাডুবিতে মাদরাসা শিক্ষক ও ছাত্রদের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায়ও আহতদের জন্য সহায়তার হাত বাড়িয়েছিল সাদাকাহ ইউএসএ। নিহতদের জানাজা, দাফন এমনকি পরবর্তী সময়ে প্রত্যেক পরিবারের জন্য আর্থিক সহায়তা, সন্তানদের শিক্ষার খরচের ব্যবস্থা করে সংস্থাটি।