২০১৪ সালে ভয়াবহ এক সড়ক দুর্ঘটনায় দেশ বরেণ্য মুফাসসিরে কোরআন মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবীর বাম হাতের কনুই থেকে উপরিভাগ ভেঙে যায়। সেখানে স্টিলের পাত প্রতিস্থাপন করা হয়। দীর্ঘ সাত বছর তিনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শে এভাবেই চলাফেরা করছিলেন। সম্প্রতি প্রতিস্থাপিত স্টিলের পাতের জায়গায় সংক্রমণ দেখা দেওয়ায় জরুরি ভিত্তিতে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাজধানীর একটি বিশেষায়িত হাসপাতালে তিনি ভর্তি আছেন।
শনিবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে মাওলানা আইয়ুবীর ছোট ভাই মুফতি মাসউদুর রহমান আইয়ুবীর সঙ্গে ফোনে কথা বলে এ তথ্য জানা যায়।
হাসপাতালে ভর্তির সেখানে তার প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। পরে চিকিৎসকরা জরুরি ভিত্তিতে অপারেশন করে হাতে প্রতিস্থাপিত স্পিলের পাত অপসারণ করেন।
উল্লেখ্য, গতবছর ২২ এপ্রিল হেফাজতে ইসলামের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে যাওয়ার পর তার হাতে ইনফেকশন দেখা দেয়। গত নভেম্বরে তিনি ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালের প্রিজন সেলে থেকে একমাস চিকিৎসা গ্রহণ করলেও হাতের অবস্থায় পরিবর্তন হয়নি। এ মাসের ৬ তারিখ প্রায় একবছর কারাবন্দি থাকার পর জামিনে বের হলে চিকিৎসক তাকে অবিলম্বে অপারেশন করার পরামর্শ দেন। চিকিৎসকদের পরামর্শে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে বিশিষ্ট অর্থোপেডিক সার্জন ডাক্তার কামরুজ্জামানের তত্ত্বাবধানে দীর্ঘ চার ঘণ্টার এই অপারেশন সম্পন্ন হয়।
মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবীর ছোট ভাই মুফতি মাসউদুর রহমান আইয়ুবী তার সুস্থতার জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়ে হাসপাতালে ভিড় না করতে অনুরোধ জানিয়েছেন।