সৌদি আরবের সঙ্গে ২০১৯ সালের হজ চুক্তি সম্পাদিত হবে ১৩ ডিসেম্বর। সৌদি আরবের রিয়াদে দ্বি-পাক্ষিক এ চুক্তি সম্পাদিত হবে।
রোববার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে হজ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কর্মশালায় বক্তৃতাকালে এ তথ্য জানান ধর্মমন্ত্রী অধ্যাপক মতিউর রহমান।
মন্ত্রী বলেন, ২০১৯ সালে হজের খরচ বাড়বে। ২০১৯ সালে মিনায় দোতলা খাটে হজযাত্রীদের রাখার ব্যবস্থা করছে সৌদি সরকার। তবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দোতলা খাট নয়, আগের মতো একটি তাবুতে ৬৪ জনকে রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছে। কারণ বাংলাদেশের অধিকাংশ হজযাত্রী বৃদ্ধ, তারা এভাবে থাকতে পারবে না।
কর্মশালায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, হজ গাইড নিয়োগে কারও রেফারেন্স বা সুপারিশ থাকা উচিৎ নয়। সেই সঙ্গে হজ গাইড প্রেরণের আগে শতভাগ প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করা দরকার।
ধর্মসচিব মো. আনিছুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেদ্দার কনসাল জেনারেল এফ এম বোরহানউদ্দিন, কাউন্সেলর হজ (মক্কা) মাকসুদুর রহমান, যুগ্ম-সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) মহাসচিব শাহাদাত হোসেন তসলিম প্রমুখ।
ধর্মসচিব বলেন, হজ ক্যালেন্ডার অনুসরণ করে সার্বিক কার্যক্রম পরিচালিত হওয়ায় আগের তুলনায় হজ ব্যবস্থাপনায় ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। এটা ধরে রাখতে হবে।
তিনি বলেন, প্রতি বছর সোয়া লাখেরও বেশি মানুষ হজপালন করেন। কিন্তু সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয়ের জনবল খুবই অপ্রতুল। তাই জনবল বৃদ্ধিসহ হজ অধিদফতর প্রতিষ্ঠা ও হজ আইন প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে।
কর্মশালায় জানানো হয়, হজযাত্রীদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে আগামী বছর (২০১৯) থেকে মক্কা মদিনায় বাংলাদেশ হেলথ ক্লিনিকের সংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
চলতি বছর পর্যন্ত মক্কা ও মদিনায় একটি করে হেলথ ক্লিনিক চালু থাকলেও ২০১৯ সাল থেকে দু’টি স্থানে একাধিক হেলথ ক্লিনিক চালু করা হবে।