চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২০১৯ সালের ১০ আগস্ট পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। ১৩ ডিসেম্বর সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের হজ চুক্তি হওয়ার কথা রয়েছে। হজের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আগামী মৌসুমের হজ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ৫৯৪টি বৈধ হজ এজেন্সির তালিকা প্রকাশ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
রোববার (৯ ডিসেম্বর) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব (হজ) এস এম মনিরুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রথম পর্যায়ে এসব বৈধ এজেন্সির তালিকা প্রকাশ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যে সব হজ এজেন্সি এ পর্যন্ত হালনাগাদের কাগজপত্র দাখিল করেনি, জামানতবাবদ ২০ লাখ টাকার এফডিআর জমা করেনি, বিভিন্ন অভিযোগে শাস্তি কিংবা জরিমানাপ্রাপ্ত, হজে অনিয়ম করে সৌদি আরবে কালো তালিকাভুক্ত, মামলায় জড়িত এবং অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চলছে- সে সব এজেন্সির তালিকা প্রথম পর্যায়ে প্রকাশ করা হয়নি।
হজ ব্যবস্থাপনাকে স্বচ্ছ ও গতিশীল দ্বিতীয়বারের মতো হজ ক্যালেন্ডার প্রকাশ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। প্রকাশিত ক্যালেন্ডারে গৃহীত মোট ৭৯টি কার্যক্রমের কোনটি কবে শুরু ও কবে শেষ এবং কোন কার্যক্রম বাস্তবায়নে কোন কর্মকর্তা থাকবেন তা সুনির্দিষ্ট করে উল্লেখ করা আছে।
হজ ক্যালেন্ডার মতে ১০ নভেম্বর থেকে হজের প্রস্তুতির কাজ শুরু হয়েছে। চলবে ২০১৯ সালের ১৫ আগস্ট পর্যন্ত। ক্যালেন্ডার মতে, ২০১৯ সালের ৪ জুলাই হজ ফ্লাইট শুরু হতে পারে, চলবে একমাস। আর ফিরতি হজ ফ্লাইট শুরু হবে ১৬ আগস্ট।
বাংলাদেশ থেকে ৩ বছর ধরে ১ লাখ ২৭ হাজার ধর্মপ্রাণ মানুষ হজপালনের সুযোগ পান। বাংলাদেশ সৌদি আরবের কাছে হজের কোটা বাড়ানোর দাবি করেছে। তবে এবার মোট কতজন হজযাত্রী হজপালনে সৌদি আরব যেতে পারবেন- তা জানা যাবে ১৩ ডিসেম্বর। আর জানুয়ারি মাসে ঘোষণা করা হবে হজ প্যাকেজ।