এবারও বাড়েনি বাংলাদেশিদের জন্য হজের কোটা। ২০১৯ সালে পবিত্র হজপালনে বাংলাদেশ থেকে সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ হজযাত্রী সৌদি আরব যাওয়ার সুযোগ পাবেন।
তন্মধ্যে সরকারি কোটায় ৭ হাজার ১৯৮ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ২০ হাজার জনের কোটা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টায় সৌদি আরবের জেদ্দায় হজ ও ওমরা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ-সৌদি আরবের মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক হজ চুক্তি সই হয়।
বাংলাদেশের পক্ষে ধর্মসচিব মো. আনিছুর রহমান ও সৌদি সরকারের পক্ষে হজ ও ওমরা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী আব্দুল ফাত্তাহ বিন সোলায়মান মাসাত চুক্তিতে সই করেন। এ সময় সৌদি আরবের হজ ও ওমরা মন্ত্রণালয়ের সচিব ডক্টর হোসাইন শরীফও উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের মতো এবারও ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের কোটা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তবে চুক্তির বাইরে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে হজ কোটা বাড়িয়ে ১ লাখ ৪৬ হাজার করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। কিন্তু কোটা বাড়ানোর বিষয়টি সৌদি সরকারের আন্তঃ মন্ত্রণালয়ের সভায় সিদ্ধান্ত হয়- বিধায় বাংলাদেশের অনুরোধের বিষয়টি ওই সভায় উত্থাপন করা হবে বলে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলকে জানানো হয়েছে।
২০১৯ সালের হজে মিনায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নিজস্ব উদ্যোগে ক্লিনিক খোলার জন্য জমি বরাদ্দের অনুমতি প্রদানের অনুরোধ জানানো হয়। বাংলাদেশ থেকে প্রায় সোয়া লাখের বেশি হজযাত্রী হজপালন করেন, তাই নিজস্ব উদ্যোগে ক্লিনিক স্থাপিত হলে তাদের আর ভাষাগত কোনো সমস্যায় পড়তে হবে না।
এ ছাড়া হজ প্যাকেজে ফ্লাইট সিডিউলের সময়সীমা ৬০দিনের পরিবর্তে ৪৫ দিন করারও বিষয়টি বিবেচনার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশের প্রস্তাবগুলো বিবেচনা করা হবে বলে জানান আবদুল ফাত্তাহ বিন সোলায়মান।
ধর্ম সচিব আনিছুর রহমানের নেতৃত্বে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেদ্দায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ, কাউন্সিলর (হজ) মাকসুদুর রহমান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মিজানুর রহমান, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব (হজ) এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) মহাসচিব এম. শাহাদাত হোসাইন তসলিম, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এম মোসাদ্দেক আহমেদ, হজ অফিস ঢাকার পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিস্টেমস এনালিস্ট মো. সাইফুল ইসলাম, বিজনেস অটোমেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জাহিদুল হাসান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, যারা ২০১৯ সালে হজে গমন করতে চান, তারা ইচ্ছা করলে সরকারি ব্যবস্থাপনায় এখনও নিবন্ধন করতে পারবেন। আগামী ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত সরকারি ব্যবস্থাপনা হজ সম্পাদনে ইচ্ছুকদের জন্য নিবন্ধনের সুযোগ আছে। তবে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে গমনে প্রাক-নিবন্ধনের কোটা অনেক আগেই পূর্ণ হয়ে গেছে।