দুবাইয়ে সপ্তমবারের মতো নারী হাফেজদের অংশগ্রহণে শাইখা ফাতেমা বিনতে মোবারক আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিযোগিতায় সপ্তম স্থান অর্জন করেছেন বাংলাদেশের কিশোরী হাফেজ নুসাইবা হক ফাইজা।
গত শুক্রবার দুবাইয়ের আল-মামজার এলাকার কালচারাল থিয়েটার হলে অনুষ্ঠিত বর্ণাঢ্য আয়োজনে প্রতিযোগীদের পুরস্কার ও সম্মাননা সনদ তুলে দেওয়া হয়।
প্রতিযোগীদের মধ্যে শাইখা ফাতেমা বিনতে মোবারকের পক্ষ থেকে পুরস্কার বিতরণ করেন শাইখা হিসাহ বিনতে মাকতুম বিন জামআহ আলে-মাকতুম, আল-নাহদা উইমেনস অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান শাইখা আমিনা বিনতে হুমাইদ আল-তায়েরসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা।
আমিরাতের বার্তা সংস্থা ওয়াম সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ে শাইখা ফাতিমা বিনতে মোবারক আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার সপ্তম পর্ব শুরু হয়। প্রতিযোগিতায় বিশ্বের ৫০টি দেশের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা অংশ নেন। চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেন জর্দানের সুনদুস সায়িদ, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন বাহরাইনের আমাতুর রহমান, তৃতীয় স্থান অধিকার করেন আলজেরিয়ার ইয়াসমিন ওয়ালাদ দালি, ইন্দোনেশিয়ার মাসলাহা জামালুদ্দিন ও ইয়েমেনের আসমা আবদুর রহমান।
ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেন সেনেগালের আনদি বুসু। সপ্তম স্থান অধিকার করেন বাংলাদেশের নুসাইবা হক ফাইজা ও ক্যামেরুনের আয়েশা হুমাইদ। নবম স্থান অধিকার করেন তানজানিয়ার সুমাইয়া আলি এবং দশম স্থান অধিকার করেন যথাক্রমে ফিনল্যান্ডের সামিরা নুর ও উগান্ডার নাবিলা।
নুসাইবা হক ফাইজা রাজধানীর ওয়ারীর সাউদা বিনতে জামআহ (রা.) বালক-বালিকা হিফজ মাদরাসার শিক্ষার্থী। তারা বাবা জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের ইমাম মাওলানা এহসানুল হক জিলানী।
হাফেজ নুসাইবার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ থানার সোহাগপুর। সে গত ২ আগস্ট ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ কর্তৃক নির্বাচনী পরীক্ষায় বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হয়।
এর আগে হাফেজ রাফিয়া হাসান জিনাত ২০১৬ সালে এই প্রতিযোগিতায় ৮৩টি দেশের মধ্যে নবম স্থান অর্জন করেন। ২০১৭ সালে ৭০টি দেশের প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে ৪র্থ স্থান অধিকার করেন হাফেজ খাদিজা বিনতে আহসান মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ এবং ২০১৯ সালে হাফেজ ওয়াহিদা হাফসা ১০তম স্থান অধিকার করেন।