বিশ্বে নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুপম আদর্শ অনুকরণ করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা সম্ভব। মহানবী (সা.)-এর কর্ম ও জীবনের আদর্শকে আমাদের ধারণ ও চর্চা করতে হবে। ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে সারাদেশে যেসব অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে তা নবী কারিম (সা.)-এর আদর্শ অনুসরণে মানুষকে অধিকতরভাবে উৎসাহ যোগাবে।
বুধবার (১১ অক্টোবর) বাদ মাগরিব বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পূর্ব সাহানে (প্রাঙ্গণ) পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ১৪৪৫ হিজরি উদযাপন উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন (ইফা) আয়োজিত পক্ষকালব্যাপী অনুষ্ঠানমালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এমপি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন ও কেরাত প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
এই প্রতিযোগীরা ২০২২ ও ২০২৩ সালে দুবাই, কুয়েত, মিসর, সৌদি আরব ও ইরানে অনুষ্ঠিত হিফজুল কোরআন ও কেরাত প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনেন।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বিশ্বজয়ী হাফেজদের উদ্দেশ্যে বলেন, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় প্রতিযোগী হিসেবে নিজেকে প্রস্তুতকরণের মধ্য দিয়ে যে চর্চা ও অধ্যাবসায় তৈরি হয়, তা প্রতিযোগীদের মননে ইসলামি মূল্যবোধ তৈরি করে। এ ধর্মীয় মূল্যবোধ প্রতিযোগীদের নৈতিকতাসম্পন্ন সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার। সভাপতিত্ব করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মুহা. বশিরুল আলম। অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেকাফুল মাদারিসিল আরাবিয়ার প্রধান পরিচালক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী ও টেলিভিশনের ধর্মীয় আলোচক ড. কে এম আব্দুল মোমিন সিরাজী।
অনুষ্ঠানে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালকবৃন্দ ও সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ১৪৪৫ হিজরি উপলক্ষে গত ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ইসলামিক ফাউন্ডেশন পক্ষকালব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করে।