দীর্ঘ ৭৫ বছর ধরে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী ফিলিস্তিনের নিরীহ মুসলমানদের ওপর জুলুম-অত্যাচার ও হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের ঘরবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করছে, নির্মমভাবে হত্যা করছে। এবার ফিলিস্তিনের মুসলিম যুবক ও তরুণরা জেগেছে তাদের মাতৃভূমি উদ্ধারে। বিশ্ব মুসলিম নেতৃবৃন্দকে ফিলিস্তিনের জনগণের পক্ষে দাঁড়াতে ও সেনাবাহিনী পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করতে হবে। বিশ্ব মুসলিম নেতৃবৃন্দকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে ইসরায়েল নামক সন্ত্রাসী রাষ্ট্রকে মুছে দিতে হবে।
বুধবার (১১ অক্টোবর) বাদ জোহর মোহাম্মদপুরের শহীদ পার্ক জামে মসজিদের সামনে কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন ইত্তেফাকুল মাদারিসিল কওমিয়া মোহাম্মদপুর ঢাকার উদ্যোগে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের আগ্রাসী হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখেন জামিয়া ইসলামিয়া বায়তুল ফালাহর ভাইস প্রিন্সিপাল মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ এসব কথা বলেন।
মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ আরও বলেন, স্বাধীন স্বার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া ফিলিস্তিন সমস্যার কোনো সমাধান হবে না। ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে স্থায়ীভাবে সমস্যা সমাধানে ওআইসি, জাতিসংঘসহ মুসলিম বিশ্বের নেতৃবৃন্দকে কার্যকরী প্রদক্ষেপ ও ভূমিকা নিতে হবে।
বিক্ষোভ মিছিলিপূর্ব প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জামিয়া ইসলামিয়া বায়তুল ফালাহর মুহতামিম মাওলানা মুহাম্মদ তালহা।
মুফতি উমর ফারুক ও মাওলানা আতাউর রহমানের যৌথ পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, জামিয়া রাহমানিয়া আজিজিয়ার শিক্ষক মাওলানা মাহবুবুল হক, জামিয়া ওহিদিয়ার শিক্ষক মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, জামিয়া মুহাম্মদিয়ার ভাইস প্রিন্সিপাল মাওলানা মুহাম্মদ ফয়সাল, জামিয়া ওহিদিয়ার প্রিন্সিপাল মাওলানা মুহাম্মদ জুবায়ের, আশরাফুল মাদারেসের ভাইস-প্রিন্সিপাল ইসমাঈল, আদাবর বায়তুল আমান মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি আমীম হোসাইন প্রমূখ।
সমাবেশে শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বাস ষ্টেশন গিয়ে শেষ হয়।