দখলদার ইহুদি ও তাদের মিত্ররা ফিলিস্তিনে মুসলিম ভাইবোনদের হত্যা, সম্পদ লুন্ঠন, সম্ভ্রমহানী, ঘরবাড়ী থেকে উচ্ছেদ, অহেতুক হয়রানি ও পবিত্র ভূমি বায়তুল মাকদাসে নামাজ আদায়ে বাঁধা দিচ্ছে। এরপরও বিশ্ব নেতৃত্ব নির্লজ্জভাবে ইসরায়েলকে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও যুদ্ধবিমান পাঠিয়ে মুসলিম নিধনে সহায়তা করছে। এমতাবস্থায় সময় এসেছে বৃহত্তম মুসলিম ঐক্য গড়ে তোলার মাধ্যমে ফিলিস্তিন ও আল আকসাকে মুক্ত এবং ইসরায়েলেকে প্রতিহত করা।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) ফিলিস্তিনের গাজায় দখলদার ইসরায়েলে চলমান নির্বিচারে বোমা হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে ঢাকার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেইটে আয়োজিত বাংলাদেশ জমইয়াতে হিযবুল্লাহ, ইউনাইটেড ঢাকার মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণে বাংলাদেশ জমইয়াতে হিযবুল্লাহর সিনিয়র নায়েবে আমির ও ছারছীনা দরবারের বড় সাহেবজাদা হজরত মাওলানা শাহ্ আবু নছর নেছারুদ্দীন আহমদ হুসাইন এসব কথা বলেন।
মাওলানা শাহ্ আবু নছর নেছারুদ্দীন আহমদ হুসাইন আরও বলেন, ইসলাম আমাদেরকে শান্তি ও সহাবস্থানের শিক্ষা দিয়েছে। আমরা শান্তিময় বিশ্ব ব্যবস্থা কায়েম করতে চাই। আমরা দ্ব্যর্থহীনভাবে ঘোষণা করতে চাই, একমাত্র ইসলামই দিতে পারে বিশ্ব শান্তির নিশ্চয়তা।
প্রধান অতিথি আরও বলেন, কোরআন-সুন্নাহ মোতাবেক ফিলিস্তিন এবং এর আশপাশের অঞ্চল পবিত্র ভূমির অন্তর্ভুক্ত। বায়তুল মাকদাস মুসলমানদের প্রথম কেবলা। এই পবিত্র ভূমিকে কাফের-মুশরিকরা অবৈধভাবে দখল করে তাদের হীনস্বার্থ হাসিল করতে পারবে না- ইনশাআল্লাহ।
তিনি পীর ভাই, মুহিব্বিন ও বিশ্ব মুসলিমকে ফিলিস্তিনের জন্য বিশেষ দোয়া ও সাধ্যমতো সহযোগিতারও আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ জমইয়াতে হিযবুল্লাহ্, ইউনাইটেড ঢাকার সভাপতি সাবেক জেলা ও দায়েরা জজ আলহাজ ইসমাইল হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন- নায়েবে আমির মাওলানা নূরুর রহমান বেগ, নাজেমে আলা ড. মাওলানা সৈয়দ মুহা. শরাফত আলী, বাংলাদেশ জমিয়াতুল মুদার্রেসীনের মহাসচিব মাওলানা শাব্বির আহমদ মোমতাজী, ঢাবির অধ্যাপক ড. হাফেজ মাওলানা রুহুল আমিন, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আ.খ.ম. আবু বকর সিদ্দিক, অতিরিক্ত নাজেমে আলা মাওলানা মো. আলী আকবর, যুব ও ছাত্র হিযবুল্লাহর কেন্দ্রীয় সভাপতিসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।