পূর্ব ঘোষণামতে ২০১৯ সালে হজ গমনেচ্ছুদের প্রাক-নিবন্ধনের সময় নির্ধারণ ছিলো ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। কিন্তু হজযাত্রীদের চাহিদাসহ নানা কারণে হজের প্রাক-নিবন্ধনের সময় বাড়ানো হয়েছে ২০১৯ সালের ১৮ মার্চ পর্যন্ত।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব আব্দুল্লাহ আরিফ মোহাম্মদ সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতীয় হজ ও উমরা নীতি ১৪৩৯/২০১৮ এর অনুচ্ছেদ নং ৩.১.১ এর নির্দেশনা মোতাবেক সরকারি ও বেসরকারি উভয় ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের প্রাক-নিবন্ধন কার্যক্রম আগামী ১৮ মার্চ (২০১৯) বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত চলবে।
এক সময় হজপালনের ক্ষেত্রে শুধু আর্থিক বিষয়কে প্রধান বাধা মনে করা হলেও বর্তমানে আর্থিকভাবে সামর্ধ্যবান হয়েও আগাম হজ নিবন্ধন না করার কারণে অনেকেই ইচ্ছানুযায়ী সময়ে হজে যেতে পারেন না।
চলতি বছর (২০১৯) বাংলাদেশ সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ হজযাত্রী হজপালনের সুযোগ পাবেন। তন্মধ্যে সরকারি কোটায় ৭ হাজার ১৯৮ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ২০ হাজার জনের কোটা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ২০১৮ সালের ১৩ ডিসেম্বর সৌদি আরব ও বাংলাদেশের মধ্যকার দ্বি-পাক্ষিক হজ চুক্তি সম্পন্ন হয়। ওই চুক্তিতে হজযাত্রীর সংখ্যা নির্ধারিত হয়।
ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের প্রাক নিবন্ধনকৃত হজ গমনেচ্ছুর সংখ্যা ২ লাখ ২৬ হাজার ৪২৯ জন। তন্মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬ হাজার ৬৭৬ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২ লাখ ২৬ হাজার ৪২৯ জন।
২০১৯ সালে হজের কোটা বাড়েনি। বিদ্যমান প্রাক-নিবন্ধনের সংখ্যা মতে এবার ১ লাখের বেশি নিবন্ধনকারীকে হজের জন্য ২০২০ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
সৌদি সরকার বেশ কয়েক বছর থেকে শতভাগ হজ কার্যক্রম ই-হজ পদ্ধতিতে পরিচালনা করছে। হজ নীতিমালা অনুসারে বাংলাদেশও প্রাক-নিবন্ধন থেকে শুরু করে নিবন্ধন ও পরবর্তী সব কার্যক্রম ই-ইজ পদ্ধতিতে পরিচালনা করছে। ফলে হজ গমনেচ্ছুদের আগাম নিবন্ধন করতে হচ্ছে। ফলে যারা হজে যেতে ইচ্ছুক, তাদের অবশ্যই নিবন্ধন করতে হবে।
অতীতে দেখা গেছে, বিভিন্ন এজেন্সি হজ গমনেচ্ছুদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে হজে পাঠানোর আশ্বাস দিতো। কিন্তু শেষ মুহূর্তেু অতিরিক্ত কিছু টাকা পেয়ে অন্য কাউকে পাঠিয়ে দিতো, অনেক সময় আবার হজের টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটে। এ নিয়ে সাধারণ মানুষ প্রতারিত হতেন।
বর্তমানে ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রাক-নিবন্ধন চালু হওয়ায় একটি নির্দিষ্ট অংকের টোকেন মানি দিয়ে কোনো এজেন্সি কিংবা ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের জেলা অফিস ও আশাকোনার হজ ক্যাম্পে প্রাক-নিবন্ধন করা যায়। প্রাক-নিবন্ধনের পর নিবন্ধনকারীর মোবাইলে নিশ্চিতকরণ ম্যাসেজ দেওয়া হয়। ফলে হজে পাঠানো নিয়ে নয়-ছয় করার সুযোগ থাকে না।