ইউরোপের সপ্তম বৃহত্তম দেশ জার্মানি। ইউরোপের তিরিশটি দেশের মধ্যে জার্মানিতে মুসলমানের সংখ্যা প্রায় ৬০ লাখ। যা মোট জনসংখ্যার ৬ দশমিক ১ শতাংশ। মুসলমানদের অধিকাংশই তুর্কি বংশোদ্ভূত। বাকিরা দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপ, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, উত্তর আফ্রিকা ও অন্যান্য দেশ থেকে এসেছেন।
ইউরোপের দেশগুলোর মাঝে জার্মানিতে বসবাসকারী মুসলিমদের সংখ্যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবস্থানে। ইউরোপের দেশগুলোর মাঝে ফ্রান্সে সবচেয়ে বেশি মুসলিম বসবাস করেন। এর পরই জার্মানির অবস্থান। জার্মানির বিভিন্ন শহরে অনেক মসজিদ রয়েছে এবং এর সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে।
জার্মানির ধর্মীয় সম্প্রীতি উল্লেখ করার মতো ও প্রশংসিত। তার পরও কিছু কিছু ঘটনা সম্প্রীতির এ চিত্রে কালিমা লেপন করে। তেমনি একটা ঘটনা হলো- সম্প্রতি পশ্চিম জার্মানির ডুইসবার্গ শহরের নবনির্মিত একটি মসজিদে দুর্বৃত্তদের হামলার খবর পাওয়া গেছে। তুরস্কের প্রভাবশালী গণমাধ্যম ডেইলি সাবাহ এ খবর দিয়েছে।
মসজিদ কর্তৃপক্ষের সূত্র দিয়ে সংবাদ মাধ্যমটি জানায়, রোববার (৩০ ডিসেম্বর) কিছু দুর্বৃত্ত মসজিদে হামলা করে মসজিদে ডেভিডের তারকা চিহ্ন অংকন করে দেয়। ডেভিড ইহুদিবাদের প্রতীক হিসেবে পরিচিত। স্থানীয় মুসলিমদের ধারণা মসজিদে হামলাকারী দুর্বৃত্তরা দ্যা স্টার অফ ডেভিড গ্রুপের সঙ্গে জড়িত কেউ হতে পারে।
ডুইসবার্গ শহরের নির্মাণাধীন ওই মসজিদের মোতাওয়াল্লি ও মসজিদ নির্মাণকারী সংস্থা জামিয়াতুল ইসলামের প্রধান হুলুসি উইকসেল এ হামলার ঘটনাটি স্থানীয় নিরাপত্তা কৃর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন।
তিনি বলেছেন, ‘নির্মাণাধীন এ মসজিদটির কাজ শেষ হতে প্রায় দেড় বছর (১৮ মাস) সময় লাগবে।’ এমতাবস্থায় কে বা কারা এ হামলা করেছে তা তারা জানেন না।’
তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ হামলাকারীদের কাউকে সনাক্ত করতে পারেনি।
জার্মানি প্রচুর মসজিদ থাকলেও সম্প্রতি জার্মান সরকার মসজিদগুলোর ওপর ‘মসজিদ কর’ নামে বিশেষে কর বসানোর কথা ভাবছে। দেশটির মুসলিম সম্প্রদায়কে স্বাবলম্বী এবং তাদের ওপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে জার্মান সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জার্মানিসহ ইউরোপের আরও কয়েকটি দেশে একইভাবে ক্যাথলিক এবং প্রোটেস্ট্যান্ট খ্রিস্টানদেরও কর দিতে হয়।