অনেকে পাখি লালন-পালন করতে পছন্দ করেন। পোষ মানানোর জন্য কিংবা কথা শেখানোর জন্য পাখি পালন করেন। এসব পাখি খাঁচায় বন্দী করে লালন-পালন করা হয়। যদিও খাঁচায় নিয়মিত খাবার-পানীয় দেওয়া হয়, প্রয়োজনে চিকিৎসাও করানো হয়।
অনেকে বলেন, এভাবে কোনো প্রাণীকে খাঁচায় বন্দী করে রাখা উচিত নয়। এতে প্রাণীর কষ্ট হয়। বিষয়টি নিয়ে কয়েকটি মত দেখা যায়।
একদল ইসলামি স্কলারের অভিমত হলো, যেসব পাখি খাঁচায় জন্মায় এবং এখানেই বড় হয় অর্থাৎ (উড়া পাখি নিয়ে এসে বন্দী করা হয়েছে এমন নয়) এসব পালিত পাখিকে নিয়মিত খাবার পানি ও চিকিৎসা দিয়ে সুন্দরভাবে পরিচর্যা করতে পারলে খাঁচায় রেখে লালন-পালন করা জায়েজ। সাহাবিদের থেকে খাঁচায় পাখি লালন-পালন করা প্রমাণিত।
হজরত হিশাম ইবনে উরওয়া (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজরত আবদুল্লাহ ইবনে যুবায়ের (রা.) মক্কায় ছিলেন। তখন সাহাবারা খাঁচায় পাখি রাখতেন। -আল আদাবুল মুফরাদ: ৩৮৩
কিন্তু এক্ষেত্রে যথাযথ পরিচর্যা করতে হবে। পরিচর্যা করতে না পারলে অথবা বন্দী করে রাখার কারণে কষ্ট পেলে খাঁচায় আটকে রাখা জায়েজ হবে না। ছেড়ে দিতে হবে।
আরেকদল ইসলামি স্কলারের অভিমত হলো, বাইরে উড়ে বেড়ায় এমন পাখিকে খাঁচায় বন্দী করলে তাদের কষ্ট হতে পারে। তাই এ ধরনের পাখি খাঁচায় বন্দী না করাই উচিত।