ছবিটি মসজিদের নববির প্রবেশ পথগুলোর একটি। যেখানে দেখা যাচ্ছে থরে থরে সাজানো রয়েছে ইফতার, এমন আয়োজন মসজিদে নববিতে যাওয়ার রাস্তা, মসজিদের আঙিনা, মসজিদের চত্বর ও মূল মসজিদের ভেতরেও রয়েছে। মসজিদে নববির বরকতময় ইফতার আয়োজন।
রমজান আসলে চারদিকে যে আমেজ বিরাজ করে তা সত্যিই বিরল। মসজিদে নববিতে দৈনিক দুই লাখের বেশি মানুষকে ইফতার করানো হয়। এসব ইফতার বিভিন্ন মানুষের অংশগ্রহণে হয়ে থাকে। স্থানীয় সৌদিসহ সবাই চেষ্টা করে রোজাদারদের ইফতার করানোর সওয়াব হাসিল করতে।
হাদিসে হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে, সে রোজাদারের সমপরিমাণ সওয়াব পাবে; তবে রোজাদারের সওয়াব থেকে একটুও কমানো হবে না।’ -সুনানে সুনানে তিরমিজি : ৮০৭
মদিনার ইফতার আয়োজনের সব থেকে ভালো লাগার দৃশ্য হলো, যাবার পথে খুব বিনয়ের সঙ্গে ডেকে ডেকে বসানো। প্রত্যেকেই চায়, আমার দস্তরখানে কোনো রোজাদার মেহমান হোক। কেউ যদি বলে, সামনে আমাদের জন্য নির্ধারিত দস্তরখান আছে। তাহলেও বলবে, ‘এখানে খেয়ে পরে ওই দস্তরখানে যাবেন।’
বস্তুত রমজান মাস ত্যাগ ও সহমর্মিতার মাস। ত্যাগের মহিমা সারাবছর জিইয়ে থাকুক আমাদের মধ্যে।