মিসরীয় সভ্যতায় নীল নদের তীরে নলখাগড়া জাতীয় গাছ পাওয়া যেত। ওই সব গাছ কেটে প্রাপ্ত খোলকে পাথর চাপা দিয়ে রোদে শুকানো হত। ফলে খোলগুলো শুকিয়ে যেত এবং পাথরের চাপে সোজা হয়ে লেখার উপযোগী হত। পরবর্তীতে আঠা দিয়ে জোড়া দিয়ে রোল আকারে সংরক্ষণ করা হত। এভাবে তৈরি প্রাচীন লেখার উপযোগী মাধ্যমকে প্যাপিরাস বলা হয়।
প্যাপিরাস থেকে লেখার মাধ্যম কাগজ এসেছে। সেই প্যাপিরাসে লেখা হাজার বছরে আগের একটি পুরোনো কোরআনে কারিমের কপি পায়া গেছে আফ্রিকার দেশ আলজেরিয়ায়।
পবিত্র কোরআনে কারিমের কপিটি এখনও অক্ষত অবস্থায় রয়েছে। সম্প্রতি আলজেরিয়ার খেনচেলাহ শহরের নিকটবর্তী আলজাভিয়া গ্রামে ‘নূর উৎসব’ নামক এক ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠানে কোরআনে কারিমের এ পাণ্ডুলিপিটি দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। পুরোনো কোরআনের ঐতিহাসিক এ কপিটি দেখতে অনুষ্ঠানে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে।
প্রদর্শনীর আয়োজকরা জানিয়েছেন, ইতিহাস বিখ্যাত প্যাপিরাসে লেখা কোরআনে কারিমের পাণ্ডুলিপিটি খেনচেলাহ শহরের এক বাসিন্দার কাছে রক্ষিত ছিল। তিনি উত্তরাধিকার সূত্রে পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে কোরআনের এ কপিটি পেয়েছেন।
প্রদর্শনী শেষে হাজার বছরের পুরনো কোরআনে কারিমের কপিটি ওই ব্যক্তির তত্ত্বাবধানেই ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
উত্তর আফ্রিকার মুসলিম দেশ আলজেরিয়া। দেশটির জনসংখ্যার ৯৯ শতাংশই মুসলিম। সেখানে ইসলামি ঐতিহ্যের অনেক নিদর্শন রয়েছে।