মদিনা নবীর শহর। মসজিদে নববি এবং রওজায়ে আতহার এই শহরের অন্যতম আকর্ষণ। এই মদিনায়ই প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শুয়ে আছেন।
আর কি গুরুত্ব আছে এই শহরের? আছে। এই শহরের মানুষ দুর্দিনে নবী কারিম (সা.)-কে আশ্রয় দিয়েছিলেন। এই শহরে আল্লাহর রাসুল (সা.) জীবনের শেষ ১০টি বছর কাটিয়েছেন। আগে মদিনার নাম ছিল ইয়াসরিব। নবীর আগমনে আনন্দে উদ্বেলিত জনতা নিজ শহরের নাম বদলে ফেলে রাখলেন মদিনাতুন নবী, অর্থাৎ নবীর শহর।
ইসলামের বিধানে নবী কারিম (সা.)-এর প্রতি ভালোবাসা ঈমানের অংশ। অন্তরে তার প্রতি ভালোবাসা ধারণ করা ছাড়া কেউ পূর্ণাঙ্গ মুমিন হতে পারবে না। আর হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর রওজা জিয়ারত নিঃসন্দেহে সওয়াব ও মর্যাদাপূর্ণ কাজ।
প্রতিটি মুসলমানের হৃদয়ের বাসনা থাকে, নবী কারিম (সা.)-এর রওজার পাশে দাঁড়িয়ে তার প্রতি দরুদ ও সালাম প্রেরণ করা। এখন হজের মৌসুম হওয়ায় মুসল্লিদের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এত মানুষের ভিড়েও মহান আল্লাহর রহমতে হাজিরা খুব বেশি কষ্ট ছাড়াই রওজা জিয়ারতের সুযোগ পাচ্ছেন।
নবী কারিম (সা.)-এর রওজা জিয়ারতের বিশেষ ফজিলত রয়েছে। হাদিসে হজরত ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যে আমার ওফাতের পর আমার (রওজা) জিয়ারত করল, সে যেন আমার জীবদ্দশায় আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করল।’ -দারাকুতনি: ২৬৯৪
আরও পড়ুন : এবারের হজে এত মানুষের মৃত্যু কেন?
কোরআনে কারিমে রওজায়ে আতহার জিয়ারতের প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে আল্লাহতায়ালা বলেছেন, ‘(হে মাহবুব!) যদি তারা নিজেদের আত্মার ওপর জুলুম করে তাহলে যেন তারা আপনার দরবারে আসে, অতঃপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও যদি তাদের জন্য ক্ষমা চেয়ে সুপারিশ করেন তবে তারা অবশ্যই আল্লাহকে তওবা কবুলকারী ও দয়ালু হিসেবে পাবে।’ -সূরা নিসা: ৬৪
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি আমার রওজা জিয়ারত করল তার জন্য আমার শাফায়াত (সুপারিশ) ওয়াজিব (আবশ্যক) হয়ে গেল।’ -বায়হাকি
অন্য হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি বায়তুল্লাহ শরিফ হজ করল অথচ আমার জিয়ারত করল না, মূলত সে আমার ওপর জুলুম করল।’ -ইবনে হিব্বান