বাংলাদেশের প্রথম কোরআনে কারিমের ভাস্কর্য স্থাপন করা হয় ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার কসবার কদমতুলির মোড়ে। ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক ভাস্কর্যটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন।
চারুকলা ইনস্টিটিউটের ছাত্র ভাস্কর কামরুল হাসান শিপনের নকশায় দেশের প্রথম কোরআন ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা পৌরসভার মেয়র এমরানুদ্দীন জুয়েলের তত্ত্বাবধানে।
এরপর নরসিংদীর আমদিয়া ইউপির কান্দাইল বাসষ্ট্যান্ডে নির্মিত হয়েছে আল্লাহতায়ালার ৯৯ নামের ভাস্কর্য। এরই ধারাবাহিকতায় এবার মুন্সিগঞ্জে আল্লাহতায়ালার ৯৯ নাম সম্বলিত স্তম্ভ বানানো হলো।
মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার উদ্যোগে আল্লাহতায়ালার গুণবাচক ৯৯ নাম সংবলিত দৃষ্টিনন্দন স্তম্ভটি নির্মিত হয়েছে মুন্সিগঞ্জ জেলার প্রাণকেন্দ্র কাচারি চৌরাস্তার মাঝে।
মহান মুক্তিযুদ্ধ ও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় এটি নির্মাণ করা হয়েছে।
নির্মিত স্তম্ভটি শহরের সোন্দর্যবর্ধন ও একই সঙ্গে কাচারি মোড়ের যানবাহনের এলোপাতালি চলাচলে শৃঙ্খলা আনবে।
এই স্থাপনার নাম দেওয়া হয়েছে ‘আসমাউল হুসনা’ যার অর্থ আল্লাহতায়ালার সুন্দরতম নাম। স্তম্ভের নির্মাণকারী প্রকৌশলীর নাম মোহাম্মদ আলী।
চারকোণ আকৃতির ২৯.৬ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট স্তম্ভের নিচের প্রায় পাঁচ ফুট কালো টাইলসের আস্তরণ রয়েছে। এর ওপরে স্তম্ভের চারদিকে মার্বেল পাথরে আল্লাহতায়ালার গুণবাচক ৯৯টি নাম লেখা হয়েছে। সবার ওপর নির্মাণ করা হয়েছে ছোট্ট একটি গম্বুজ। ওই গম্বুজে সবুজ টাইলসের আবরণ দেওয়া হয়েছে। দেখতে মদিনার সবুজ গম্বুজের মতো।
বুধবার (৩০ জানুয়ারি) দৃষ্টিনন্দন এই স্থাপনার ফলক উন্মোচন করেন মুন্সিগঞ্জ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।
মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ফয়সাল বিপ্লবের সভাপতিত্বে ফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক উপ-কমিটির সভাপতি আল্লামা খন্দকার গোলাম মাওলা।
বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে এভাবে স্থাপিত বিভিন্ন স্থাপনায় আল্লাহতায়ালার কিংবা কোরআন থাকায় সন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা গেছে সাধারণ মানুষদের। সাধারণ মানুষ মনে করেন, শহরজীবনের ব্যস্ততায় কিংবা চলার পথে এমন স্থাপনা দেখে দয়াময় ও সর্বশক্তিমান আল্লাহতায়ালার কথা পথচারীদের স্মরণ হবে। যার মনে আল্লাহর নাম জাগরুক ওই মনে কোনো অন্যায়ের স্থান নেই।