কোরআন শরিফ বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। অনুবাদের এই ধারাবাহিকতায় এবার ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্য মেঘালয়ের স্থানীয় ‘খাসি’ ভাষায় অনূদিত হলো মহাগ্রন্থ কোরআন। খবর শিলং টাইমসের।
সম্প্রতি ভারতের মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী শিলংয়ে খাসি ভাষায় অনূদিত কোরআনের প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
খাসি ভাষায় কোরআনটি সরাসরি আরবি থেকে করা হয়নি। কোরআনে কারিমের ইংরেজি অনুবাদ থেকে অনুবাদটি করা হয়েছে। অনুবাদের কাজটি তদারকি করেছে ‘সেং ভালাং ইসলাম’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
ইসলাম ও কোরআনের বাণী প্রচার-প্রচারণার উদ্দেশ্যে এটি অনুবাদ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই প্রতিষ্ঠানের এক মুখপাত্র।
প্রাথমিকভাবে খাসি ভাষায় ৩ হাজার কপি ছাপানো হয়েছে। পরে এ সংখ্যা চাহিদা অনুযায়ী আরও বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছে অনুবাদক সংস্থাটি।
শিলং টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, দীর্ঘ ১২ বছরের অধ্যাবসায় ও রিসার্চের পর ১২৫১ পৃষ্ঠার এ পাণ্ডুলিপি প্রকাশ করেছে অনুবাদের সম্পাদনা বোর্ড।
অনুবাদক সংস্থা সেং ভালাং ইসলামের এক মুখপাত্র বলেন, খাসি ভাষায় পবিত্র কোরআন অনুবাদের ফলে মেঘালয়ের ১৬ লাখের বেশি লোক অর্থসহ এটি বুঝতে ও পড়তে পারবেন। স্থানীয়রা সহজেই এর মাধ্যমে জ্ঞানার্জন ও ইসলামের বিধি-বিধান বাস্তবায়নে সক্ষম হবে।
উল্লেখ্য, ‘খাসি’ ভাষা অস্টোয়াসেটিক ভাষার অংশ। ২০০৫ সাল থেকে মেঘালয়ে এ ভাষা সহযোগী অফিসিয়াল ভাষা হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। খাসি ভাষা মৌখিক সাহিত্য ও লোকগাথায় বেশ সমৃদ্ধ। পবিত্র কোরআন অনুবাদের মাধ্যমে এ ভাষা আরও সমৃদ্ধ হলো।