কারও দাঁত পড়ে গেলে সেখানে নতুনভাবে আর দাঁত না উঠা সম্ভাবনা থাকলে, নতুন দাঁত লাগানো যাবে। এমনকি সোনা বা রূপার দাঁতও স্থায়ীভাবে লাগানো জায়েজ।
হাদিসে এসেছে, হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে কোনো যুদ্ধে গিয়ে হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে উবাই (রা.)-এর সামনের দাঁত পড়ে যায়। তখন হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) তাকে সোনার দাঁত লাগানোর নির্দেশ দেন।’ -মুসনাদে বাযযার : ৩০১১
তিরমিজি শরিফের এক রেওয়ায়েত হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আরফাজা ইবনে আসআদ থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, জাহেলি যুগে কিলাবের যুদ্ধের দিন আমার নাক আক্রান্ত হয়েছিল। ফলে আমি রূপা দ্বারা বানানো নাক লাগাই। কিছুদিন পর তা দূর্গন্ধ ছড়াতে লাগলো। তখন হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে সোনার নাক ব্যবহারের নির্দেশ দিলেন। -জামে তিরমিজি
এ হাদিসের ওপর ভিত্তি করে ফুকাহায়ে কেরাম সোনার তৈরি দাঁত ব্যবহারের পরামর্শ দেন। এ বিধান নারী-পুরুষ সবার জন্যই। বর্তমানে যেসব পাথরের দাত ব্যবহার করা হয় শরিয়তের দৃষ্টিতে কোনোটিই নাজায়েজ নয়।
দাঁতের সঙ্গে সম্পৃক্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি মাসয়ালা হচ্ছে, অজু-গোসলের সময় কৃত্রিম দাঁত খুলে চামড়ায় পানি পৌঁছাতে হবে কিনা? এ ব্যাপারে ইসলামি স্কলাররা বলেন, কৃত্রিম দাঁত যদি ফিক্সড হয়, যা স্বাভাবিকভাবে খোলা যায় না, তা মূল দাঁতের হুকুমে। অর্থাৎ ফরজ, সুন্নত বা মোস্তাহাব কোনো প্রকারের অজু বা গোসলে সেই কৃত্রিম দাঁতে শুধু পানি দিয়ে ধৌত করলেই হবে।
উল্লেখ্য, স্থায়ীভাবে সোনা বা রুপার দাঁত লাগানো হলে মৃত্যুর পর তা খুলতে হবে না।