২০১৯ সালে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজপালনে প্রতিজনের ন্যূনতম খরচ ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৮০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ খরচ কোরবানি বাদে ধরা হয়েছে।
শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর নয়া পল্টনের হোটেল ভিক্টোরির হলরুমে সংবাদ সম্মেলন করে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এ প্যাকেজ ঘোষণা করে।
সংবাদ সম্মেলনে হাব মহাসচিব এম শাহাদাত হোসেন তসলিম বলেন, রোববার (১৭ ফেব্রুয়ারি) থেকে হজের নিবন্ধন শুরু হবে। চলবে ১০ মার্চ পর্যন্ত। এবার বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় সর্বনিম্ন খরচ জনপ্রতি ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৮০০ টাকা। কোনো হজ এজেন্সি এর কমে কাউকে হজে নিতে পারবে না। তবে এজেন্সিগুলো সুযো-সবিধার ভিত্তিতে উচ্চমূল্যে হজ প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারবে। প্রাক-নিবন্ধনকারীদের মধ্যে ঘোষিত সিরিয়াল অনুসারে আওতাধীন নিবন্ধিতরা প্রাক-নিবন্ধনের ৩০ হাজার টাকা বাদে প্যাকেজ অনুযায়ী নির্ধারিত টাকা থেকে ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা দিয়ে চূড়ান্ত নিবন্ধন করবেন। বাকি টাকা দ্রুত পরিশোধ করবেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, হজের বিমান ভাড়া ১ লাখ ২৮ হাজার টাকা নির্ধারণ করে ঘোষিত প্যাকেজে মক্কা ও মদিনায় বাড়ি ভাড়া ১ লাখ ৬ হাজার ৫০০ টাকা ধরা হয়েছে। এ ছাড়া সৌদি আরবে প্রদেয় বিভিন্ন সার্ভিস চার্জ ও পরিবহন ভাড়া ৪০ হাজার ৮৮২ টাকা ৫০ পয়সা, জমজমের পানি ২৬০ টাকা, অতিরিক্ত সার্ভিস চার্জ ও ভ্যাট ৩৫ হাজার ৪৩৭ টাকা ৫০ পয়সা, স্থানীয় সার্ভিস চার্জ ৮০০ টাকা, হজযাত্রীদের কল্যাণ তহবিল ২০০ টাকা, প্রশিক্ষণ ফি ৩০০ টাকা, চিকিৎসা কেন্দ্র ফি ১০০ টাকা, অন্য খরচ ১ হাজার ২১৫ টাকা ও প্রাক-নিবন্ধন ফি দুই হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। একইসঙ্গে খাওয়া খরচ ৩০ হাজার ধার্য্য করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে হজের লেনদেনে এজেন্সিবাদে অন্যদের সঙ্গে না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, কোনো হজ এজেন্সির কারণে হজযাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েন না। মধ্যস্বত্বভোগী দালাল ও ফড়িয়াদের কাছে টাকা জমা দিয়ে অনেক সময় হজযাত্রীরা বিপদ পড়েন। বাড়ির পাশের লোক কিংবা কোনো ইমামের কাছে টাকা জমা দিয়ে তারা মনে করেন নিরাপদে হজযাত্রা করতে পারবেন। কিন্তু বাস্তবে পড়েন বিপাকে। তাই হাব নেতৃবৃন্দ মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য বন্ধে ধর্ম মন্ত্রণালয় ও হাবের সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণের কথা বলেন, তাদের বর্জনের পরামর্শ দেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, মাহরাম ব্যতিত কোনো নারী হজে যেতে পারবেন না। সেই সঙ্গে হজযাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা বাধ্যতামূলক।
এ সময় হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি আব্দুস ছোবহান ভূঁইয়া ও অন্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এবার সরকারি-বেসরকারিভাবে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ ব্যক্তি হজ করতে সৌদি আরব যাবেন। এর মধ্যে বেসরকারিভাবে যাবেন এক লাখ ২০ হাজার, বাকি সাত হাজার ১৯৮ জন যাবেন সরকারিভাবে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগস্টের ১০ তারিখে হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে।