একাধিকবার হজ ও ওমরা পালনকারীদের অতিরিক্ত ফি মওকুফ এবং ২০১৯ সালের হজ মৌসুমে হজযাত্রীদের ইমিগ্রেশন বাংলাদেশে সম্পন্ন হতে পারে বলে জানিয়েছে সৌদি আরবের হজ ও ওমরা বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
সেই সঙ্গে এজেন্সি প্রতি হজযাত্রী ১৫০ জন থেকে নামিয়ে ১০০ জন করার বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে। এছাড়া মিনায় দ্বিতল খাট ব্যবস্থা বাতিলসহ বাংলাদেশিদের জন্য হজকোটা বাড়ানো, মিনা আরাফা মুজদালিফায় হজযাত্রীদের সেবা নিশ্চিতের আশ্বাস দিয়েছে সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ।
সম্প্রতি মক্কায় সৌদি হজ এবং ওমরা মন্ত্রণালয়ে সৌদি আরবের হজ ও ওমরা বিষয়ক মন্ত্রী ড. সালেহ মোহাম্মদ বিন তাহের বেনতেনের সঙ্গে বাংলাদেশের ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহর বৈঠকে বিষয়গুলো চূড়ান্ত হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেসরকারি হজ এজেন্সি মালিকদের সংগঠন হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) মহাসচিব এম শাহাদাত হোসেন তসলিম।
এম শাহাদাত হোসেন তসলিম বলেন, সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশি হজযাত্রীদের ইমিগ্রেশন বাংলাদেশে করার বিষয়টি গভীরভাবে ভাবছে। এ ছাড়া মিনায় দ্বিতল খাট দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল, এজেন্সি প্রতি হজযাত্রী ১৫০ জন থেকে কমিয়ে ১০০ জন করা, বাংলাদেশি হজযাত্রীদের কোটা বৃদ্ধিসহ বৈঠকে বেশকিছু বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহর নেতৃত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, ধর্ম সচিব আনিসুর রহমান, সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ, কনসাল জেনারেল এফ এম বোরহান উদ্দিন, কাউন্সিলর (হজ) মোহাম্মদ মাকসুদুর রহমান, কনসাল (হজ) আবুল হাসান ও হাব মহাসচিব এম শাহাদাত হোসেন তসলিম।
বাংলাদেশে প্রতিনিধি দল সৌদি আরবের ইসলামিক বিষয়ক মন্ত্রী শেখ ড. আবদুল লতিফ বিন আবদুল আজিজ আল শেখ, ওয়ার্ল্ড মুসলিম লীগ সভাপতি ড. মোহাম্মদ বিন আবদুল করিম ইসা, রাবেতা আল আলম আল ইসলামি, ইসলামিক উন্নয়ন ব্যাংক, মসজিদে হারামের গ্র্যান্ড ইমাম, মোয়াসসাসা কর্তৃপক্ষ, মদিনার আদিল্লার চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
হজ ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্ট বেশকিছু দাবি নিয়ে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহর নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল শুক্রবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট (বিজি-০৩৫) যোগে সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন।
প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হচ্ছেন, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আনিছুর রহমান, হাব মহাসচিব এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম ও ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর এপিএস শেখ নাজমুল হক সৈকত।
২ মার্চ প্রতিনিধি দলের বাংলাদেশে ফেরার কথা রয়েছে।