বিগত বছরের ধারাবাহিকতায় এবার ষষ্ঠবারের মতো রোববার (৩ মার্চ) ব্রিটেনে পালিত হবে ‘ভিজিট মাই মস্ক কর্মসূচি।’ মুসলিম কাউন্সিল অব ব্রিটেনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবার ২৫০টি মসজিদ ঘুরে দেখার সুযোগ পাচ্ছেন ব্রিটেনের অমুসলিম নারী-পুরুষরা।
ভিজিট মাই মস্ক কর্মসূচি উপলক্ষে মসজিদগুলো অমুসলিম নারী-পুরুষ ও শিশু-কিশোরদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠবে।
ব্রিটেনের বিভিন্ন এলাকার প্রায় আড়াইশ’ মসজিদ অমুসলিমদের জন্য সারাদিন উন্মুক্ত থাকবে। যেখানে অমুসলিমরা এসে মুসলিম উম্মাহ এবং ইসলাম সম্পর্কে জানার সুযোগ পাবেন।
এই কর্মসূচিতে ইউরোপের অন্যতম বৃহত্তর ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ইস্ট লন্ডন মসজিদে অমুসলিমদের উপচেপড়া ভিড় হয়। এবারও প্রচুর মানুষের সমাগম হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
খ্রিস্টান ও ইহুদিসহ বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষ মসজিদটি পরিদর্শনে আসেন। তারা মসজিদ ঘুরে ঘুরে দেখেন। মসজিদের বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত বিশেষ বুথে ইসলাম সম্পর্কিত নানা বিষয়ে জানার সুযোগ পান। আগতদের জন্য থাকে আপ্যায়নের ব্যবস্থা।
মসজিদগুলো শুধুমাত্র ইবাদত-বন্দেগি স্থান, এখানে গোপনীয় কোনো কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয় না, এ ধরনের স্বচ্ছ ধারণা দেওয়া দিতে এমন কর্মসূচি বেশ সাড়া ফেলেছে।
ভিজিট মাই মস্ক ডে সম্পর্কে লন্ডন মুসলিম সেন্টারের সেমিনার হলে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে মুসলিম কাউন্সিল অব বিট্রেনের সহকারী সেক্রেটারি মাসুদ আহমদ জানিয়েছেন, ‘তারা (মুসলমানরা) সবসময়ই ধর্মে বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী সব মানুষকে মসজিদে স্বাগত জানিয়ে থাকেন। আমরা আশাবাদী এ কর্মসূচির মাধ্যমে ইসলাম ও মুসলমানদের সম্পর্কে যে ভুল বুঝাবুঝি আছে, তা দূর করতে সহায়ক ভুমিকা রাখবে। পরস্পরে হৃদ্যতা বাড়বে।
তিনি বলেন, আমরা যতবেশি একজন আরেকজন সম্পর্কে জানতে পারবো, ততবেশি আমাদের পারস্পারিক সম্পর্কের উন্নতি হবে এবং বিশ্বাস সদৃঢ় হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে মুসলিম কাউন্সিল অব বৃটেন (এমসিবি) ভিজিট মাই মস্ক কর্মসূচির উদ্বোধন করে। প্রথম বছরই অমুসলিমদের পক্ষ থেকে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যায়।
এই কর্মসূচি উপলক্ষে ক্ষমতায় থাকাকালীন ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরুন মসজিদ পরিদর্শনে এসেছিলেন। এমনকি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে গতবছর মসজিদ পরিদর্শনে এসেছিলেন।